উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে ক্ষমতা হারিয়ে এবার ভারতকেই দুষলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। বর্তমানে ওলি নেপালের শিবপুরি সেনানিবাসে রয়েছেন বলে স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সেখান থেকেই ইউনাইটেড কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপালের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখরেলকে লেখা এক চিঠিতে ওলি দাবি করেছেন, লিপুলেখ পাস ও শ্রীরামের জন্মস্থান নিয়ে ভিন্নমত তুলে ধরার জন্যই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওলির শাসনকালে ২০২০ সালে নেপালের নয়া মানচিত্র অনুমোদনের জন্য সংবিধান সংশোধনী পেশ করা হয় নেপালের সংসদে। সেখানে ভারতের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ হিসেবে দেখানো হয়। বিল পাশ হওয়ার পরে নেপালের অবস্থান সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেয় ভারত। কাঠমান্ডুর পদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক, অসমর্থনযোগ্য এবং অঐতিহাসিক’ বলে অভিযোগ করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ভারত জানায়, ১৯৫৪ সাল থেকে উত্তরাখণ্ডের পিথোড়াগড় জেলার লিপুলেখ পাস দিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চলছে। মাঝে কোভিডের কারণে তা বন্ধ ছিল।
শুধু এখানেই থামেননি ওলি। ২০২০ সালের জুলাই মাসে তিনি দাবি করেন রামচন্দ্র আদতে নেপালের। রামের জন্মভূমিও উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা নয়, বরং কাঠমাণ্ডুর কাছে একটি ছোট্ট গ্রাম। এমনকি নেপালে করোনা ছড়ানোর জন্যও ভারতকে দায়ী করেন ‘চিন ঘনিষ্ঠ’ ওলি। এদিনের চিঠিতে মূলত লিপুলেখ ও অযোধ্যা প্রসঙ্গের উল্লেখ করে ওলির দাবি, এই বিতর্কিত প্রসঙ্গে না তুললে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতেন।