উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে হাইকোর্টের (Excessive Court docket) রায় মেনে নিয়ে ওবিসি (OBC) বা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণে নয়া বিধি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার(State authorities)। ২০১০ সালের পরে রাজ্য সরকারের তৈরি ৭৭টি সম্প্রদায়কে দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র (Certificates) বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সব মিলিয়ে ১২ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল (canceled) করা হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ (problem) করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court docket) হাই কোর্টের ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি। এমন অবস্থায় নতুন করে ওবিসি চিহ্নিত করতে ফের সমীক্ষা শুরু করল রাজ্য প্রশাসন (State administration)। কিন্তু কী কারণে এমন রায় দিয়েছে আদালত? কলকাতা হাইকোর্টের যুক্তি, ২০১০ পরে তৃণমূল (tmc) জমানায় যে ওবিসি তালিকা তৈরি হয়েছিল, সেখানে আগের ৬৬টি সঙ্গে আরও ১১৩টি গোষ্ঠীকে যোগ করা হয়েছিল। ওই সময় যে ভাবে তালিকা (checklist) তৈরি হয়েছিল তা আইন মেনে হয়নি।
সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের (Backward Lessons Welfare Division) তরফে একটি সংশোধিত তালিকা (Revised checklist) পেশ করা হয়েছে। তাতে মুখ্যমন্ত্রী সিলমোহরও (Seal) দেন। ৯ জুন থেকে বিধানসভার (Legislative Meeting) অধিবেশন (session) শুরু হবে। তখন বিধানসভায় এই বিষয়টি বিল (invoice) আকারে পেশ করবে রাজ্য সরকার। বিধানসভায় বিলটি পাশ হলে এরপর তা আইনে (legislation) পরিণত হবে।
এদিকে সংশোধিত নতুন তালিকায় আইনি জটিলতা দূর করতে আগের ৬৬টি জাতির সংখ্যা কমিয়ে ৬৪ করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ৭৬টি জাতিকে যোগ করা হয়েছে। এতে রাজ্যে স্বীকৃত (Acknowledged) ওবিসি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৪০। অর্থাৎ এতদিন ছিল ৭ শতাংশ (%)। এবার তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ১৭ শতাংশ।
এদিকে হাইকোর্টে এরপরে ওবিসি মামলার শুনানি (Listening to) রয়েছে ১৯ জুন। কী পদ্ধতিতে সমীক্ষা করে নতুন ওবিসি তালিকা তৈরি করা হবে তী ওই দিনের মধ্যে হলফনামায় রাজ্য ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশনকে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অপরদিকে ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় একাধিক চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগ (recruitment) জটিলতা দেখা দিয়েছে। তাই বিধানসভায় এই তালিকা অনুমোদনের পর সমস্যা সমাধান (downside fixing) হয় কী না এনিয়ে কৌতূহল রয়েছে সকলে