অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ নতুন সকাল। নতুন দিন। নতুন ভাবনা। আর সেই ভাবনার নির্যাস হল, ক্রিকেটকে একদিনের জন্য টাটা করে গলফে ডুব দেওয়া। গলফ খেলে হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফেরানোর পথ খোঁজা। গলফ খেলে নিজেদের একটু তাজা করে নেওয়া।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের এমন ভাবনা, পরিকল্পনা বাস্তবে কতটা কাজে দেবে, সময় তার জবাব দেবে। তবে আপাতত ৮ ম্যাচে ৫টিতে হারের পর নাইটরা কার্যত ভেন্টিলেশনের দোরগোড়ায়। শনিবার ঘরের মাঠে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফের বিপর্যয় ঘটলে এবারের মতো প্লে-অফ স্বপ্ন চুরমার হয়ে যাবে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
দলের ব্যাটিং নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভালো। ফিল্ডিংয়ের অবস্থাও তথৈবচ। বোলিং তুলনায় একটু ভালো। কিন্তু শুধু বোলিং দিয়ে কি ম্যাচ জেতা সম্ভব? সহজ জবাব, না। নিটফল, ব্যর্থতার কানাগলিতে ঘুরপাক খাওয়ার মধ্যে নিজেদের অস্তিত্বই সংকটে ফেলে দিয়েছেন আজিঙ্কা রাহানেরা। জঘন্য ক্রিকেটের পাশে দলের ভারসাম্য এখনও ঠিক করতে না পারার ফল ভুগতে হচ্ছে নাইটদের। যদিও আজ সারাদিন ধরে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এক গলফ ক্লাবে গলফের আসরে হাজির হওয়ার পাশে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও হয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক রাহানে, মেন্টর ডোয়েন ব্রাভো ও দলের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর। কীভাবে দল সাফল্যের সরণিতে ফিরতে পারে, তার সঠিক কোনও দিশা দিতে না পারলেও অধিনায়ক রাহানে দাবি করেছেন, নাইটদের এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভব। বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়টা হয়তো ভালো যাচ্ছে না আমাদের। কিন্তু দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা এখনও রয়েছে আমাদের। একটা-দুইটি ম্যাচ জিততে পারলেই ছবিটা বদলে যাবে।’
পরিস্থিতির বদল করতে হলে সেটা অত্যন্ত দ্রুত করতে হবে। কারণ, আট ম্যাচের মধ্যে পাঁচ হার, কোনও ভালো দলের বিজ্ঞাপন হতে পারে না। কঠিন পরিস্থিতি বদলের লক্ষ্যে গতরাতের সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মেন্টর ব্রাভো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে আন্দ্রে রাসেলকে ‘বাদ’ দেওয়া হতে পারে। তাঁর পরিবর্তে রোভমান পাওয়েলের কথা ভাবতে পারে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও আজ নাইট মেন্টরের গলায় ভিন্ন সুর শোনা গেল। ব্রাভোর কথায়, ‘গতকাল গভীর রাতে ম্যাচ শেষের পর ছেলেদের সঙ্গে এখনও বসিনি আমরা। দ্রুত সেই কাজটা হবে। বুঝতে হবে কোথায় সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া পরিবর্তন করব বললেই তো করা যায় না সহজে।’ দলের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর আবার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ২০১৪ ও ২০২১ সালের আইপিএলের আমেজে ডুব দিতে চাইছেন। অতীতের সেই দুই বছরই অত্যন্ত খারাপ শুরুর পর কেকেআর শেষ পর্বে গিয়ার বদলে দু’বারই ফাইনালে উঠেছিল। ২০১৪ সালে দল চ্যাম্পিয়ন হয়। আর ২০২১ সালে রানার্স। এবারও এমন পালাবদল আশা করছেন তিনি।
আনরিচ নর্তজে, কুইন্টন ডি কক, ওটিস গিবসন, স্পেনসার জনসনদের গলফের আসরের মাঝেই আজ কেকেআরের তরফে ঘোষণা হয়েছে, বাংলার পিছিয়ে পড়া মহিলাদের উদ্দেশ্যে নয়া উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। ‘সাহসী রানি’ নামে একটি প্রকল্প চালু করা হচ্ছে শাহরুখ খান, জুহি চাওলার দলের তরফে।
