কিশনগঞ্জ: ভুল গ্রুপের রক্ত দেওয়ায় মৃত্যু হল এক প্রসূতির। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। ঘটনার পরেই নার্সিংহোমে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ এনে রবিবার সকালে নার্সিংহোমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃতের পরিজনেরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কিশনগঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্তান প্রসবের জন্য কিশনগঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানা এলাকার শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা মেরুনা বেগম(২৬)। শুক্রবার মেরুনা এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। শনিবার রাতে তাঁর আচমকাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেই সময় জনৈক চিকিৎসক প্রসূতিকে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই মতো তাঁকে ভুল গ্রুপের রক্ত জানান শীঘ্রই রক্ত দিতে হবে। অভিযোগ সেই রাতেই নার্সিংহোম থেকে রোগীকে ভুল গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রক্ত দেওয়ার পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে প্রসূতি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নার্সিংহোমে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় চিকিৎসক, নার্স সহ অন্যান্য কর্মীরা।
প্রসূতির মৃত্যুর খবর পেয়ে রবিবার সকালে নার্সিংহোমে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃতার পরিজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নার্সিংহোমের কোনও সরকারি অনুমতি নেই। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে রমরম করে চলছিল এই অবৈধ কারবার। নার্সিংহোমের ব্যানারে কিশনগঞ্জের একাধিক ডাক্তারের নাম থাকলেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এদিকে মৃতার মা জানান, মেয়ের সিজার করতে ৩০ হাজার টাকা চেয়েছিল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই তাঁরা সন্তান প্রসবের জন্য এনেছিলেন। তিনি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।