কিশনগঞ্জ: দাবি মতো টাকা না মেলায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কিশনগঞ্জের অদূরে টেঙ্গরমারি শালকি গ্রামে। মৃতার নাম জুহি খাতুন(২০)। গত ২৩ জুলাই শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় শ্বশুরবাড়ি থেকে। এই ঘটনায় কিশনগঞ্জ সদর থানায় মৃতার স্বামী মহম্মদ শাহবাজ সহ শ্বশুরবাড়ির চারজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার ভাই মহম্মদ নাদিম কৌশর। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় তিন বছর আগে মুসলিম রীতিনীতি মেনে জুহির বিয়ে হয় টেঙ্গরমারি শালকি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ শাহবাজের। বিয়ের সময় সাধ্যমতো পন দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর আবার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আরও পাঁচ লক্ষ টাকা বাড়ি থেকে আনার জন্য জুহির উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে বলে অভিযোগ। দাবি মতো বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করায় জুহির উপর মানসিক শারীরিক অত্যাচার বেড়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গত ১৭ জুলাই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন জুহি। পরে গ্রামে শালিসি সভা বসে দুই বাড়ির লোকেদের নিয়ে। সেই শালিসি সভায় নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয় অভিযুক্তরা। জুহি সেই রাতেই বাড়ি ফিরে যান।
এদিকে বুধবার রাতে বাপেরবাড়ির লোকেরা খবর পান জুহির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা দেখেন বারান্দায় পড়ে রয়েছে জুহির দেহ। তাঁদের অনুমান, জুহিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে গিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিশনগঞ্জ থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কিশনগঞ্জ হাসপাতালে। মৃতার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।