খড়িবাড়ি: প্রধানের পর এবার খড়িবাড়ির (Kharibari) বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে (Binnaguri Gram Panchayat) আস্থা ভোটে পরাজিত হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন তৃণমূলেরই ৮ বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য। ফলে প্রধান ও উপপ্রধান শূন্য বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে কার্যত অচলাবস্থার সৃষ্টি হল।
শুক্রবার ছিল বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের তলবি সভা। আস্থা ভোটে ৮-৫ ভোটে পরাজিত হন উপপ্রধান। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ১৩ আসন খড়িবাড়ির বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০২২ সালের শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল (TMC) ৯ এবং বিজেপি (BJP) ৪টি আসনে জয়লাভ করে। তবে প্রধান পদটি তপশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় এই পদটি পান বিজেপির আলাকসু। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আলাকসু ও বিজেপির অপর সদস্য লক্ষ্মী কিসকু হেমব্রম। বিক্ষুব্ধরা লক্ষ্মীকে প্রধান পদ থেকে সরাতে অনাস্থা আনেন। প্রধান ও উপপ্রধানকে সরাতে ১৮ ও ২৭ মার্চ খড়িবাড়ি বিডিওকে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলেরই ৮ বিক্ষুব্ধ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। ১৬ এপ্রিল তলবি সভায় আস্থা ভোটে প্রধান আলাকসু লাকরা পরাজিত হন। এদিন তৃণমূলের উপপ্রধান প্রমোদ প্রসাদ পরাজিত হলেন।
বিক্ষুব্ধদের মধ্যে বিকাশ বর্মনের দাবি, আলাকসু বিজেপির প্রধান ছিলেন। উপপ্রধান তৃণমূলের হলেও তিনি বিজেপির প্রধানের সঙ্গে মিলে কাজ করতেন। বিজেপির সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছিলেন। উপপ্রধান প্রমোদ প্রসাদের অবশ্য দাবি, ‘আমরা জনগণের কাজ করতে চেয়েছি। ওরা লুটেপুটে খাবার জন্য দলের নির্দেশ অমান্য করেছে।’ প্রধান ও উপপ্রধান শূন্য হয়ে পড়ল বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। দ্রুত পঞ্চায়েতের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যকে প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানান বিডিও দীপ্তি সাউ।