উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় কূটনৈতিক মহল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে এবার জট কাটাতে আসরে নেমেছে ব্রিটেন। জেলেনস্কির পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সমস্যা সমাধানে আগ্রহ দেখিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিস থেকে ‘ব্যার্থ’ বৈঠকের পর বের হয়ে সরাসরি ব্রিটেনে পৌঁছন জেলেনস্কি। এরপরই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক হয়। বৈঠকের পর রবিবার স্টার্মার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যাতে ফের আলোচনায় বসেন, তিনি সেই চেষ্টা করবেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের করুণ অভিজ্ঞতার পর ব্রিটেনে পৌঁছে কিছুটা স্বস্তি পান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষা খাতে ২.২৬ বিলিয়ন পাউন্ডের ঋণ দেওয়ার চুক্তিতে সাক্ষর করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। পাশাপাশি জেলেনস্কিকে বুকে জড়িয়ে ধরে জানিয়ে দেন, ব্রিটেন কিয়েভের পাশে থাকবে। যা জানা গেছে, তা হল , ইউক্রেনের সঙ্গে বসে যুদ্ধ থামাতে একটি শান্তিচুক্তি তৈরি করবে ফ্রান্স ও ব্রিটেন। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বিষয়টি পেশ করা হবে। স্টার্মার বলেছেন, ‘যুদ্ধ থামানোর জন্য ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং আরও দু’-একটি দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে মিলে একটি পরিকল্পনা তৈরি করবে বলে স্থির হয়েছে। পরে ওই পরিকল্পনার বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।’ তবে আন্তর্জাতিক মহলের সংশয় রয়েছে, আদৌ ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ অন্য দেশের তৈরি শান্তি চুক্তি আদৌ রাশিয়া বা ট্রাম্প মানবে কিনা। তবে তার উত্তর মিলবে আগামীতে। আপাতত জেলেনস্কির পাশে থাকার ইঙ্গিতই দিয়েছে ইওরোপের দেশগুলি। জানা গেছে, পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সঙ্গেও কথা বলবেন জেলেনস্কি।