উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ কিছু লুকোতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি অর্চনা মজুমদার। রবিবার অর্চনা মজুমদার যেখানে ঘটনা ঘটেছিল সেই এলাকা পরিদর্শনে যান। অর্চনা দেবীর অভিযোগ পুলিশ প্রশাসন তাঁর তদন্তে সহায়তা করেনি, এবং ভিকটিম ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। অর্চনাদেবী জানান, তিনি সকাল থেকে চেষ্টা করলেও কোথাও পুলিশ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। চারপাশে ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। উপরের তলা থেকে নিচ পর্যন্ত সমস্ত ঘরে তালা ঝুলছে। এমনকি নির্যাতিতাকেও লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অর্চনা দেবী জানান, গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি তৎপরতা চলেছে, অথচ আজ ডেপুটি কমিশনার জানাচ্ছেন—ভিকটিম কোথায় আছেন, পুলিশ জানে না। কমিশনের সদস্য হিসেবে তিনি এদিন ডিসি নর্থ ও ডিসি সাউথ উভয়ের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁদের বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ অর্চনাদেবীর।
উল্লেখ্য, কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আবারও আরেকটি ভয়াবহ ঘটনায় কেঁপে উঠেছে কলকাতা। বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের ক্যাম্পাসে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের মোবাইল ফোন থেকে অপরাধের ভিডিও ক্লিপিং পাওয়া গেছে। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র নেতা এবং বহু নেতা-নেত্রীর ঘনিষ্ঠ। তার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সকলের ছবি ভাইরাল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চান। কিন্তু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারলেও নির্যাতিতার খোঁজ তিনি পাননি।