উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কসবা ল-কলেজের (Kasba Regulation Faculty) ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! ঘটনার দিন ভাইস প্রিন্সিপাল কলেজে ঢোকেন ৯টা ৫০ এ, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি কলেজ থেকে বেরিয়ে যান। অন্তত রেজিস্টার তাই বলছে। তাহলে গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনায় তাঁকে নিয়ে এত জলঘোলা কেন হচ্ছে?
২৫ জুন, ঘড়িতে তখন ৯ টা ৫০। কসবা ল-কলেজের রেজিস্টারে জ্বলজ্বল করছে ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষর। তিনি কলেজে প্রবেশ করলেন। আবার খানিক বাদেই তিনি বেরিয়ে গেলেন কলেজ থেকে। অন্তত রেজিস্টারে সেই প্রমাণই রয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি যতটা সহজভাবে দেখা যাচ্ছে, ঠিক ততটাও সহজ নয়। কারণ ভাইস প্রিন্সিপালের সাক্ষরের পাশে এএম বা পিএমের উল্লেখ নেই। প্রশ্ন হল আউট টাইমারটি যদি রাতের হয়, তাহকে কী তিনি ধর্ষণের সময় কলেজেই ছিলেন? ঘটনার দিন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা থেকে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত ছাত্রীটির উপর নির্যাতন চলেছে বলে অভিযোগ। আবার নয়না চট্টোপাধ্যায় আগেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ‘ঘটনার দিন আমি সেদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডিনের ঘরে মিটিংয়ে ছিলাম।’ তবে তারপরেও তিনি কলেজে ছিলেন কিনা, বা কখন বেরিয়েছেন ইত্যাদি ইস্যুতে আজও তিনি নীরব। বলা ভালো বারবার জবাব এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে, এতবড় ঘটনা ঘটার পরদিন অর্থাৎ ২৬ জুনের রেজিস্টার অনুযায়ী, প্রিন্সিপালের ইন টাইম সকাল সাড়ে নটা। পরে তা কেটে করা হয় ১০ টা ১৫। এবং আউট টাইম রাত ৮টা ৩০। তাও আবার কেটে হাফ ডে করা হয়েছে। এ নিয়েও রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। আবার গোটা কলেজের সিসিটিভি (CCTV) অ্যাক্সেস তাঁর চেম্বারেই থাকে। তাহলে ঘটনার পরদিন কলেজে এসে তিনি কেন আগের দিনের ফুটেজ দেখলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না। এদিন রেজিস্টারে এত গরমিল নিয়ে মুখ খোলেননি নয়না চট্টোপাধ্যায়।