উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Invoice) নিয়ে ফের সরব হলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (MP Kalyan Banerjee)। সোমবার সকালে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সাংসদ অভিযোগের সুরে বলেন, ‘বৈঠক’ (Assembly) শুরুর মাত্র ৪১ মিনিট আমি হাতে পেয়েছি সংশোধনীর তালিকা সংক্রান্ত নথি। তাই প্রস্তাবিত সংশোধনী পর্যালোচনা করার সময়টুকুও আমি ভালোভাবে পায়নি।’
বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তি নিয়ে কোনওভাবেই আলোচনা করার সুযোগ থাকে না। অর্থাৎ কারও আপত্তি থাকলেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। এতে কোনও ভাবেই মাথা ঘামাতে পারেনা সরকারের। এই নিয়মে পরিবর্তন আনতে গত বছর ৮ অগাস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। কেন্দ্রের এই বিলের বিরোধিতা করে বিরোধীরা করেছিল। অবশেষে দু’পক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বিল পাঠানো হয়েছিল যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, এসপি, আপ, মিম-সহ প্রায় সব কটি বিরোধী দলের বক্তব্য, এই বিল যেমন মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা কেড়ে নেবে, তেমনই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতেও আঘাত করবে। শুধু তাই নয়, নতুন আইনে যাবতীয় ক্ষমতা জেলাশাসকের হাতে চলে যাবে। এরফলে জেলাশাসক ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। যাবতীয় গুরুত্ব হারাবে ওয়াকফ বোর্ড।
বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বৈঠকের।গত শুক্রবার জেপিসির বৈঠকে শুরু হতেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কল্যাণ সহ ১০ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। এদিন ফের বৈঠক শুরু হওয়ার আগে কার্যত ফুঁসে উঠেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানকে (J.P.C Chairman)। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘সোমবার সকালে ১১টা থেকে বিলের ধারা ধরে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল বৈঠকে। কিন্তু বিলে কী কী সংশোধনী আনা হয়েছে, তার তালিকা আমার কাছে এসে পৌঁছয় সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে। ফলে আমার পক্ষে সব কটি প্রস্তাবিত সংশোধনী ভালো করে পড়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে খুবই তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। একেবারেই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না।’