উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) রোষানলে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)! দিদির ওপর অভিমানের কারণেই কী দলের চিফ হুইপ (Chip Whip) পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সাংসদ? নাকি নেপথ্যের কারণ কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে সম্পর্ক। তবে কল্যাণের এমন সিদ্ধান্তে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র (Mahuya Moitra)। একই দলের দুই সাংসদের সম্পর্কটা যেন আদায়-কাঁচকলায়। অতীতে মহুয়া এবং কল্যাণ একে অপরের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কল্যাণের বিরুদ্ধে দলনেত্রীর কাছে নালিশ করে চিঠি দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। অনেকেই ভেবেছিলেন পরিস্থিতি হয়তো ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির বদল যে এতটুকুও হয়নি তার প্রমাণ মেলে সোমবার সকালে। মহুয়াকে দেখেই কল্যাণ বলে ফেলেন, ‘দিনটাই খারাপ যাবে।’
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠক থেকে বেরিয়ে চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফা দিতেই একেবারে বিস্ফোরক কল্যাণ। বলেন, ‘দলের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দিদি! অনেকেই আছেন সংসদে আসেন না। মাঝে দেখা পাওয়া যায়। অথচ তাঁদের নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। অনেকেই আছেন সুন্দর শাড়ি পরে, মুখে বড় বড় ইংরেজি বলেন তাঁর বেলায় কিছু না। তিনি আমাকে গালাগাল করছেন আর আমি চুপ করে থাকবো? তাছাড়া আমাকে এসএসসি, ডিএ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ একাধিক মামলা দেখতে হয়। আমি আর কতদিক দেখবো। আমার মনে হয় দিদি ভাবছেন আমি যথাযথ দায়িত্ব সামলাতে পারছি না। তাই ইস্তফা দিয়েছি।’
এখানেই না থেমে কল্যাণ আরও বলেন, ‘আমাকে অভিষেক (Abhishek Banerjee) ফোন করেছিল। বলল ৭ তারিখ এসে কথা বলবো। সেদিন ওকে জানাবো সুদীপ বন্দোপাধায় আসে না, কাকলি, মালা কেউ আসেন না। তাঁদের তো দিদি বলে না তোমার কেন আসো না? সব দোষ আমার?’