উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আজ নদিয়ার কালীগঞ্জে রয়েছে উপনির্বাচন (Kaliganj Meeting Bypoll)। এদিন সকাল ৭টা থেকেই ভোটগ্রহণ (Vote) শুরু হয়েছে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কড়া নিরাপত্তা রয়েছে এলাকাজুড়ে। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু বুথে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি ছিল নদিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে। তাই প্রথম দিকে খুব একটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। তবে কিছু মানুষ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ছাতা মাথায় ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বেলা বাড়তেই বৃষ্টি কমেছে। এরপর থেকেই বুথগুলিতে পড়েছে ভোটারদের লম্বা লাইন। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ১০.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
কালীগঞ্জ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Fee)। সবদিকেই নজর রাখা হয়েছে। একাধিক ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দলীয় পতাকা এবং ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে, অধিকাংশ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই ভোটারদের মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফোন জমা রেখে ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে। ফোন পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন কমিশন নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকেরা। তবে সবকিছুর মাঝেই কিছু সমস্যা ও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, এদিন প্রথমেই ইভিএম বিভ্রাট দেখা দেয় কালীগঞ্জ বিধানসবভার ১৬৭ নম্বর বুথে। পরবর্তীতে সেখানে যান কমিশনের আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে ২১ নম্বর বুথে বিরোধী দলের এজেন্টকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের। তাঁর মৃত্যুর পর চার মাস বিধায়কহীন হয়ে ছিল কালীগঞ্জ। সেজন্যই এবার উপনির্বাচন হচ্ছে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। এবারের কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে মূলত ত্রিমুখী লড়াই চলছে। উপনির্বাচনে এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী করা হয়েছে প্রয়াত বিধায়কের মেয়ে আলিফা আহমেদকে। বিজেপের তরফে প্রার্থী হয়েছে আশিস ঘোষ। সেই সঙ্গে বামেদের সমর্থনে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন কাবিলউদ্দিন আহমেদ। আগামী ২৩ জুন রয়েছে ভোটগণনা। ২০২৬ সালে রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই উপনির্বাচন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কাছেই একটি বড় পরীক্ষা হতে চলেছে। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থানের কিছুটা আভাস এই উপনির্বাচনের ফলাফল দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।