সেনাউল হক, কালিয়াচক: কুয়াশার সুযোগে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাচারকারীরা। পুলিশ ও বিএসএফের চোখে ধুলো দিয়ে কখনও জাল নোট, কখনও আবার অবাধে চলছে কাফ সিরাপ, আগ্নেয়াস্ত্র পাচার। বৃহস্পতিবার ভোররাতে সীমান্ত সংলগ্ন সাইলাপুর গ্রামে কাফ সিরাপ পাচারের চেষ্টা করছিল দুষ্কৃতীরা। আটকাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাচারকারীরা। পুলিশ ধাওয়া করলে পাচারের জন্য আনা বস্তা ভর্তি কাফ সিরাপ ফেলে চম্পট দেয় তারা। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় নেশার সিরাপ ও আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও কয়েকটি গুলির খোল উদ্ধার করে পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে বরুণ মণ্ডলের (২৫) বাড়ি জানুটোলা এলাকায় এবং মিঠুন শেখের (৩০) বাড়ি দক্ষিণ কদমতলায়। দুজনের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃতদের মালদা আদালতে পেশ করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি সেভেন এমএম পিস্তল, ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি। সেইসঙ্গে উদ্ধার হয় ১০০ বোতল কাফ সিরাপ। কাফ সিরাপগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাইলাপুর গ্রামের পাশের এলাকার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কালিয়াচকের এসডিপিও ফায়সাল রাজা জানান, ‘সীমান্তে অভিযানের সময় পাচারকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সেখান থেকে ১০০ বোতল কাফ সিরাপ, একটি সেভেন এমএম পিস্তল, একটি কার্তুজ ও কাতুর্জের খোল উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে আরও পাচারকারীর নাম জানার চেষ্টা চলছে।’
পুলিশের দাবি, ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ কাফ সিরাপ পাচারের চেষ্টা চলছিল সীমান্তের ওপারে। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় অন্তত ১০-১২ জন ছিল। ধৃত বরুণ এবং মিঠুকে জেরা করে ওই দলের বাকিদের পরিচয় জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রতি বছরই শীতের সময় প্রচণ্ড এবং কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সক্রিয় হয় পাচার চক্র। এবার পাচার রুখতে তৎপরতা বাড়িয়েছে পুলিশ। এরইমধ্যে গতরাতে পাচারের আগাম খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অন্ধকারের ও কুয়াশার সুযোগ নিয়ে কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।