উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করলেন পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা (Jyoti Malhotra)। বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর পর তিনি বর্তমানে রয়েছেন হিসারের সেন্ট্রাল জেলে (Central Jail)। মঙ্গলবার সেখানেই জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর বাবা হরিশ মালহোত্রা (Harish Malhotra)। জেল থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন জ্যোতির বাবা। আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি জানান, নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন জ্যোতি।
এদিকে, ইতিমধ্যেই জ্যোতির মোবাইল, ল্যাপটপ সহ ডিজিটাল ডিভাইসগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। তাতে থাকা অনেক তথ্য আগে থেকে মুছে ফেলা হলেও, ১২ টেরাবাইট তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সেগুলি স্ক্যান করেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দানিশ সহ মোট চারজন আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। এমনকি জ্যোতি ভালোভাবেই জানতেন যে আইএসআই এজেন্টদের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। তবে এসব নিয়ে কোনও ভয় ছিল না জ্যোতির মনে। তবে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা ইঙ্গিত দেয় যে ইউটিউবারের কাছে ভারতীয় সেনার সংবেদনশীল কোনও তথ্য ছিল না তিনি কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে সমস্ত বিষয়ই খুবই নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত তিন সপ্তাহে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাও ছিলেন। ২০২৩ সালে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের একজন কর্মী এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। সেই সময় থেকে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীনও দানিশের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। গত ১৩ মে এই দানিশকেই ‘অবাঞ্ছিত’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। দানিশ সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে ইউটিউবার জ্যোতির নাম। এমনকি দানিশের আমন্ত্রণে গত বছর পাক দূতাবাসে ইফতার পার্টিতেও গিয়েছিলেন জ্যোতি।