উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে হামলার পর বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরে বন্ধ রইল দোকানপাট, স্কুল, পেট্রোল পাম্প। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সামাজিক, ধর্মীয়, ব্যবসায়ীক নানা সংগঠন বনধের ডাক দিয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ক্ষেত্রগুলি চালু রয়েছে।
গতকাল পহেলগাঁওয়ে গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ২৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যাঁদের বেশিরভাগই পর্যটক। ঘটনার পর থেকে পহেলগাঁওয়ের পরিবেশ থমথমে। চারদিকে মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। রাস্তায় যানবাহন কম চলাচল করছে। বাহিনীর তরফে প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। উপত্যকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যে।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এদিন শ্রীনগরে বেশিরভাগ দোকান, জ্বালানি স্টেশন এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শহরজুড়ে কেবল প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা। উপত্যকার বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক-ধর্মীয় সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন এবং নাগরিক সমাজ এদিন কাশ্মীরে বনধের ডাক দেয়। ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি), পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি), পিপলস কনফারেন্স সহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলি এই বনধকে সমর্থন করেছে। কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং কাশ্মীর ট্রেডার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স ফেডারেশনও বনধের ডাক দিয়েছে।