Jamaati Islami | তিনবিঘা করিডরে নজর! ভারত লাগোয়া বাংলাদেশের দহগ্রামে সভা জামাতি ইসলামের   

Jamaati Islami | তিনবিঘা করিডরে নজর! ভারত লাগোয়া বাংলাদেশের দহগ্রামে সভা জামাতি ইসলামের   

শিক্ষা
Spread the love


মেখলিগঞ্জঃ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনও নিষিদ্ধ ছিল বাংলাদেশি জামাতি ইসলাম। এই সংগঠনের মুল কর্মসূচি ভারত বিরোধিতা। ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশে খোলামেলা সভা সমাবেশ করে চলছে জামাতিরা। এবার মেখলিগঞ্জের আন্তর্জাতিক তিনবিঘা করিডরের উপর দিয়ে দহগ্রামে গিয়ে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করেছে জামাত। দহগ্রামে গিয়ে তিনবিঘা করিডর নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিল সংগঠনটি।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার বাংলাদেশের দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা এলাকায় একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইসলামিক জামাত শিবির। দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা তিনবিঘা করিডোর। এই করিডোর দিয়ে প্রাথমিকভাবে দিনে তিনঘন্টা, পরে ছয় ঘন্টা, আরও পরে ১২ ঘন্টার পর ২০১০ সালে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা সময়েই যাতায়াত করেন বাংলাদেশিরা। কিন্তু তার পরেও যেন তাদের দাবির শেষ নেই! শুক্রবার সেই দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ সহ মিছিল সংগঠিত হয়। সেই মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেক জামাত সংগঠনের সদস্য তিনবিঘা করিডরের ওপর দিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।

ভারতের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর ছিল বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে তিনবিঘা করিডোর দিয়ে জামাত সংগঠনের সদস্যরা মিছিলে যোগ দেবে। সেই মতো এদিন সকাল থেকে করিডর চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ায় বিএসএফ। পুলিশের তরফেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ফলে সংঘবদ্ধ ভাবে মিছিল করে সমাবেশে যোগ দিতে না পারলেও এককভাবে অনেকেই এদিনের এই সমাবেশে যোগদান করে বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের এক আধিকারিক জানান, “খবর পেয়েই আমরা তিনবিঘা করিডর চত্ত্বরে বাড়তি জওয়ান মোতায়েন করেছি। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমাদের জওয়ানরা প্রস্তুত রয়েছে৷”

সূত্রের খবর, বর্তমানে করিডোর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকলেও দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা থেকে সেদেশের মূল ভূখণ্ডে অবাধে গোরু নিয়ে যাওয়া, করিডর দিয়ে ভারী যানচলাচল, করিডরের দুপাশে সেদেশের দুটি সেনা ছাউনি নির্মাণ সহ বেশ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই সব নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে আবাধ যাতায়াত দাবি করছেন জামাত।   প্রাথমিকভাবে সেই সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াই তাদের দাবি নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও অন্য কোনও ষড়যন্ত্র! সে বিষয়েই নজর দিচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগের পাশাপাশি বিএসএফ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *