অভিরূপ দে, ময়নাগুড়ি: শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে জল্পেশমেলা (Jalpesh)৷ ফলে এখন থেকেই মন্দিরের তরফে এবং প্রশাসনিক স্তরে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দির রং করার কাজও চালু হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে জানিয়েছে, শিবরাত্রির মেলাকে কেন্দ্র করে সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার সর্ববৃহৎ এই মেলার আয়োজনের দায়িত্বে থাকে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। সরকারিভাবে মেলা চলবে দশদিন। মেলা পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে প্রশাসনিক স্তরে সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
জেলা শাসকের অফিসে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা মেলার বিষয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন। পানীয় জল, শৌচাগার তৈরি, প্যান্ডেল, পার্কিং ইত্যাদির জন্য ঠিকাদারি সংস্থাকে বরাত দেওয়াও হয়েছে। এছাড়া মেলার মাঠে ধুলো কমানোর জন্য শুরু হয়েছে জল দেওয়ার উদ্যোগ। অন্যান্য বছরের মতোই এবারেও জল্পেশমেলায় কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল, সবজির প্রদর্শনী থাকবে। মেলার কয়েকদিন তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে তৈরি স্থায়ী মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। এছাড়াও পুলিশ, স্বাস্থ্য, দমকল, বিদ্যুৎ বিভাগ সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার জন্যেও থাকবে আলাদা স্টল। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার কথা।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন বলেন, ‘জল্পেশমেলা এবার আরও বেশি জাঁকজমক করে আয়োজন করা হচ্ছে। আশা করি সাধারণ মানুষের সমাগম আরও বাড়বে।’ মেলার মাঠের পাশাপাশি উৎসবের আমেজে সেজে উঠছে জল্পেশ মন্দিরও। চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতির কাজ। মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সাফাই অভিযানও চলছে। মেলার দিনগুলিতে রাতে মন্দির রংবেরঙের আলোতে সাজবে। পুজোয় উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট অতিথিরা। মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, ‘শিবরাত্রির জন্য মন্দির সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। বিশেষ পুজোর আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।’