জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার হাউজিং ফর অল কর্মসূচির আট হাজার উপভোক্তা বাড়ি বানানোর টাকা পাচ্ছেন না। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কিস্তির টাকা না আসায় এই বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, আগের ৩১৪ জন উপভোক্তাও কিস্তির পুরো টাকা পাননি। যে সমস্ত বাড়ি তৈরির কাজ আটকে রয়েছে সেগুলিতে যঁারা ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছেন তঁাদের অবস্থা শোচনীয়। শীতে হুহু করে হাওয়া ঢুকছে। উপভোক্তারা বারবার পুরসভাতে এসে টাকার খেঁাজ নিচ্ছেন। কিন্তু রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার কিস্তির টাকার বিষয়ে পুরসভাকে কিছুই জানায়নি।
বর্তমানে নিয়ম অনুসারে কিস্তির টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউান্টে চলে যায়। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং হাউজিং ফর অল কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বরূপ মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিটি বাড়ি নির্মাণের জন্য ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা সরকার থেকে দেওয়া হয়। প্রথম কিস্তিতে ৪০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকা করে এবং চতুর্থ কিস্তিতে ৭০ হাজার টাকা, পঞ্চম কিস্তিতে ৩৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পুরসভা এখন পর্যন্ত সাত কোটি টাকা পেয়েছে। এই সাত কোটি টাকা ৩১৪ জন উপভোক্তাকে সমানভাবে বণ্টন করা হলেও কিস্তির টাকা বকেয়া রয়েছে।’ স্বরূপ বলেন, ‘২০২১-২০২২ সালে ২৫টি ওয়ার্ডে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকাভুক্ত আট হাজার উপভোক্তার জন্য কোনও বরাদ্দ আসেনি।
শহরের বাবুপাড়া, সমাজপাড়া এলাকার একাধিক উপভোক্তা তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে জানাতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু বললে পরে টাকা পেতে সমস্যা হতে পারে। সিপিএম নেতা প্রদীপ দে বলেন, ‘রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার হাউজিং ফর অল নিয়ে উদাসীন। দুঃস্থ উপভোক্তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অথচ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের হেলদোল নেই।
পুর কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা সুভাষ বক্সী বলেন, ‘আট হাজার উপভোক্তা হাউজিং ফর অল কর্মসূচির কিস্তির টাকা পাচ্ছেন না। তাঁরা বারবার পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও প্রতিকার পাননি।’ পুর কর্মচারীদের নেতা অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হাউজিং ফর অল কর্মসূচি নিয়ে সমস্যা চলছে। সমস্যা নিরসনে কোনও উদ্যোগ নেই।’