Jalpaiguri | স্কুলের সহপাঠী ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির জের, অভিযুক্ত ছাত্র আপাতত হোমে

Jalpaiguri | স্কুলের সহপাঠী ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির জের, অভিযুক্ত ছাত্র আপাতত হোমে

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সৌরভ দেব, জলপাইগুড়ি: সহপাঠীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে এল। জুভেনাইল জাস্টিস আইনের আওতায় নিয়ে এসে ছাত্রটিকে কোরক হোমে রাখা হয়েছে। সোমবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সদস্যরা ছাত্রের সঙ্গে আইনি পদ্ধতি মেনে কথা বলবেন। এদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রাক্তনীদের একাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, ‘একটি মামলা রুজু হয়েছে। ছাত্রটিকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’

গত মাসের ২৩ তারিখ জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী তারই সহপাঠী ছাত্রের দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হয়। ঘটনার পর ওই ছাত্রী স্কুলের এক শ্রেণি শিক্ষিকাকে বিষয়টি বলতে যায়। ওই শিক্ষিকা তাকে প্রমাণ দিতে বলেন। তার সহপাঠী দুই বান্ধবী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে নিগৃহীতা ছাত্রী শিক্ষিকাকে জানায়। কিন্তু ওই শিক্ষিকা জানিয়ে দেন, এই প্রমাণ যথেষ্ট নয়। উলটে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিক্ষিকা ওই ছাত্রীর ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ।

এরপর ছাত্রীটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে পুরো ঘটনা জানায়। পরদিন নির্যাতিতা ছাত্রীর মা স্কুলে গিয়ে অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানাতে চাইলে তিনি প্রথমে দেখা করতে চাননি। পরে অধ্যক্ষ ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে দেখা করলেও ঘটনাটি মিটিয়ে নিতে চাপ দেন বলে অভিযোগ।

এরপর ছাত্রীর পরিবারের তরফে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি, জেলা পুলিশ সুপার এবং মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে রবিবার ছাত্রটিকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসে। জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্বস্তিশোভন চৌধুরীর কথায়, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল, প্রথমে ছাত্রের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে তার কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে কি না তা জানা। যদি আগে থেকে মানসিক সমস্যা থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা দরকার। এছাড়া একজন মানুষের আচরণের খারাপ-ভালো দিকগুলি তুলে ধরে স্কুলে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা দরকার।’

অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে তার বয়ান রেকর্ড করে। সেইসঙ্গে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সরকারি আইনজীবী শান্তা চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ছাত্রটিকে তার সুরক্ষার দিক নিশ্চিত করে কোরক হোমে রাখা হয়েছে। সোমবার বোর্ডের সদস্যরা তার সঙ্গে কথা বলবেন।’

এদিকে, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রাক্তনী থেকে শুরু করে অভিভাবকদের একাংশ এই ঘটনায় অধ্যক্ষকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন। স্কুলের এক অভিভাবকের মন্তব্য, ‘অধ্যক্ষের ব্যবহার যথেষ্ট খারাপ। এটা আগের বিভিন্ন ঘটনায় প্রমাণিত। ঘটনার দিন কেন তিনি দুই অভিভাবককে ডেকে পদক্ষেপ করলেন না? ঘটনা স্কুলের বাইরে চলে আসার জন্য একমাত্র তিনি দায়ী।’

এদিকে, স্কুলের প্রিন্সিপালকে এ বিষয়ে ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর বক্তব্য মেলেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *