অমিতকুমার রায়, মানিকগঞ্জ: বৃষ্টির আশঙ্কায় তড়িঘড়ি ভুট্টা ঝাড়াই করতে শুরু করেছেন কৃষকরা। অল্প সময়ের মধ্যে ভুট্টা ঝাড়াইয়ের জন্যে চাষিরা আধুনিক যন্ত্রের ওপর নির্ভর করছেন। মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে ভুট্টা ঝাড়া যন্ত্রগুলি এক বিঘা জমির ফসল ঝেড়ে কৃষকদের ঘরে তুলে দিচ্ছে। এতে খুশি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের (Jalpaiguri) ভুট্টাচাষিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বর্তমানে জমি থেকে ভুট্টা তোলার সময় চলছে। তবে, বাসিন্দাদের একাংশ ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ায় এলাকায় পর্যাপ্ত কৃষিশ্রমিক পেতে সমস্যা হচ্ছে। এদিকে, আবহাওয়া দপ্তরের তরফে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকা ভুট্টা বৃষ্টির জলে ভিজলে তা পচে নষ্ট হবে। তাই কোনওরকমের ঝুঁকি নিতে নারাজ তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি। সদর ব্লকের কয়েকজন কৃষক ভুট্টা ঝাড়ার যন্ত্র নিয়ে গ্রামীণ এলাকা ঘুরে ঘুরে ভুট্টা ঝাড়াই করছেন।
সদর ব্লক কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে ভুট্টা চাষের এলাকা এবছর বৃদ্ধি পেয়েছে। যন্ত্রের মাধ্যমে ভুট্টা ঝাড়াই করলে ভুট্টার দানা অক্ষত ও পরিষ্কার থাকে। ফলে বাজারে সেই অক্ষত ভুট্টার ভালো দাম পাওয়া যায়। মণ্ডলঘাটের ভুট্টাচাষি বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টির আগেই ভুট্টা ঝাড়াই শেষ করতে হবে। এলাকায় কাজ করার লোক তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এক বিঘা জমির ভুট্টা তুলতে ও ঝাড়াই করতে বেশ কয়দিন সময় লেগে যাবে। আর তাড়াতাড়ি কাজ করতে গেলে অনেক বেশি মজুরিও প্রয়োজন। সেদিক দিয়ে এই যন্ত্রটি অল্প পয়সার বিনিময়ে, কম সময়ে এই কাজ করে দিচ্ছে।’