Jalpaiguri | নেই কোনও সেতু, শহরে যেতে বাসিন্দাদের ভরসা নড়বড়ে সাঁকো

Jalpaiguri | নেই কোনও সেতু, শহরে যেতে বাসিন্দাদের ভরসা নড়বড়ে সাঁকো

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


অনীক চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: একেবারে শহর সংলগ্ন এলাকা। বা বলা যেতে পারে বর্ধিত শহর। কিন্তু শহরের উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও সেখানে লেগেছে কি না, প্রশ্ন উঠছে। কারণ এখনও সেখানে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয় কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। যাতায়াতের জন্য নেই একটা সেতুও। কথা হচ্ছে জলপাইগুড়ি শহর (Jalpaiguri) সংলগ্ন বজরাপাড়া এবং ছোট বজরাপাড়ার। স্কুল পড়ুয়া থেকে ব্যবসায়ী, সাধারণ বাসিন্দাদের নদী পারাপার করতে হয় সাঁকো পেরিয়েই।

জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বজরাপাড়া এবং ছোট বজরাপাড়াকে আলাদা করেছে ধরধরা নদী। এই এলাকা থেকে পাশের শহর কিংবা অন্য জায়গায় সহজে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় নদী পারাপার। স্থানীয় বাসিন্দা সানিকা বেগম বলেন, ‘এই ছোট নদী পারাপারের আমাদের একমাত্র ভরসা এই সাঁকো। বর্ষাকালে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। জলপাইগুড়ি শহর বা অন্য কোথাও যেতে হলে প্রায় ১ কিলোমিটারেরও বেশি পথ ঘুরে যেতে হয়। ভোগান্তির একশেষ।’

এতটা বাড়তি পথ ঘুরে যাওয়ার ‘ভয়ে’ দুই এলাকার সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দা নড়বড়ে সাঁকো পেরিয়েই যাতায়াত করেন। স্থানীয়রা সাঁকোর পরিবর্তে একটি সেতুর দাবি জানিয়েছেন অনেকদিন ধরেই। স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও চার দশক ধরে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

এই সাঁকো পেরোতে গিয়ে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেকেই সাঁকো ভেঙে নীচে পড়ে গিয়েছেন। তাছাড়া, প্রতিবছরই বর্ষার সময় সাঁকো ভেঙে যায়। বর্ষার পর নিজেদের উদ্যোগে সেটি সারাই করে নেন গ্রামবাসীরা। আগের বর্ষাতেও তাই হয়েছে। বর্ষার মরশুমের পর এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি সংস্কার করেছেন।

খুদেরাও ওই সাঁকো পেরিয়েই রোজ স্কুলে যায়। তাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয়, জানালেন স্থানীয় অভিভাবকরা। এলাকাবাসী ইকবাল রহমানের কথায়, ‘আমরা খেটেখাওয়া মানুষ। প্রতিদিন বাজারহাট না করলে আমাদের চলে না। সাঁকো না পেরোলে প্রায় ১ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরতে হয়। আমরা চাই, নদীর ওপর একটি সেতু তৈরি করে দেওয়া হোক।’

শহর লাগোয়া এলাকা হলেও জায়গাটি জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। এর আগেও সমস্যা সমাধানে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু সমস্যা সমাধানে এখনও কোনও উদ্যোগ গ্রহণ না করায় স্বাভাবিকভাবে হতাশ সকলে। এ বিষয়ে পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেণুরঞ্জন সরকার বলেন, ‘সমস্যাটা আমরা জানি। আমরা ওই এলাকা পরিদর্শন করে একটি প্ল্যানও করেছি। আমাদের এমএলএকে বলায় উনি টাকার ব্যবস্থা করেছেন।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত কাজটি শুরু করার। মূল রাস্তা থেকে ওই নদী পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার কংক্রিটের রাস্তা পঞ্চায়েতের তরফে ইতিমধ্যে করা হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *