জলপাইগুড়ি: বাড়ির গ্যারাজে গাড়ি। আর ঠিক তখনই মোবাইলে মেসেজ দেখে আঁতকে ওঠেন জলপাইগুড়ি শহরের (Jalpaiguri) এক ব্যক্তি। মেসেজে লেখা, কোচবিহার শহরে ট্রাফিক নিয়ম না মানায় তাঁর গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে। কিছুতেই কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না সেই ব্যক্তি। জলপাইগুড়ি শহরের ওই বাসিন্দা শেষপর্যন্ত জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় নিজের গাড়ির তথ্য সমেত পুরো বিষয়টি জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সপ্তাহখানেক আগে৷
মঙ্গলবার হঠাৎ অভিযোগকারীর চোখে পড়ে, তাঁর গাড়ির নম্বরের আরেকটি গাড়ি বেগুনটারি এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশকে খবর দিতেই দ্বিতীয় গাড়িটি সহ তার চালককে আটক করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ৷ বুধবার ওই ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেপাজত দেয় জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে আটক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা। তিনিই ওই গাড়ির মালিক। বেশ কিছুদিন আগে শিলিগুড়ির এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি গাড়ি কিনেছিলেন। তারপর থেকে গাড়িটি চালাচ্ছেন। তিনি স্বীকার করেন, গাড়ির কোনও কাগজপত্র এখনও তিনি হাতে পাননি। পুলিশ এও জানতে পেরেছে, গাড়ির নম্বর প্লেটটিও বৈধ নয়। তবে দুটি গাড়িই একই মডেলের হওয়ায় পুলিশের ধারণা, রীতিমতো নথিপত্র খতিয়ে দেখেই এই কাজ করা হয়েছে, যাতে সহজে ধরা না পড়ে।
এই গাড়িটি চুরির কি না, বা কী উদ্দেশ্যে নম্বর প্লেট জাল করা হয়েছে সেই সমস্ত বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বরও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। শিলিগুড়ির সেই ব্যক্তি ভুয়ো নম্বর প্লেট বসিয়ে আরও গাড়ি বিক্রি করেছে কি না বা গাড়ি চুরির কারবার ফেঁদেছে কি না, সবকিছুই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, ‘একই নম্বরের দুটি গাড়ির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একই নম্বরের দুটি গাড়ির হদিস পেয়ে আমরাও সতর্ক ছিলাম। খবর পেতেই আটক করা হয়।’