পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: অধীর অপেক্ষার অবসান। ১৪ জুন জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে শিয়ালদাগামী নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে। আপাতত ০৩১১৬ নম্বরের এই ট্রেনটি উদ্বোধনী স্পেশাল হিসেবে সেদিন যাত্রা শুরু করবে। বেলা ৪টায় জলপাইগুড়ি থেকে যাত্রা শুরু করে পরদিন ভোর সওয়া ৪টায় সেটি শিয়ালদায় পৌঁছাবে। নতুন ট্রেনের যাত্রা শুরু হতে চলায় জলপাইগুড়িতে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে (Jalpaiguri)। সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায় বললেন, ‘নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এটি উদ্বোধন করতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর এখানে আসার কথা রয়েছে। তিনি সেদিন এখানে না আসতে পারলে দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন।’ তবে ট্রেনটি সপ্তাহে কতদিন যাতায়াত করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। দ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে বলে রেল জানিয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাংসদ এই ট্রেনটির দাবি জানিয়েছিলেন। কলকাতায় যাতায়াতের জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে বহু ট্রেনই রয়েছে। কিন্তু সমস্ত ট্রেনেই বছরভরই ভিড় থাকে। সহজে টিকিট পাওয়া যায় না। সমস্যা মেটাতে মাঝেমধ্যেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত নতুন ট্রেনের দাবিতে সরব হয়। সেইমতো জলপাইগুড়িও হয়েছিল। সেই দাবিতে সাংসদ সহমত হয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর সেই দাবি সহজেই মান্যতা পেয়ে যায়। ১০ মে নতুন ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে বলে প্রথমে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। ১৪ জুন নতুন ট্রেনটি তার যাত্রা শুরু করবে বলে ঠিক হয়।
রেলের আগের ঘোষণা অনুযায়ী ঠিক হয়েছিল যে, এই ট্রেনটি প্রতি শুক্রবার শিয়ালদা থেকে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে পৌঁছাবে। আবার সেদিনই জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত ৮টায় ছেড়ে পরদিন সকাল ৮টায় শিয়ালদায় পৌঁছাবে। তবে ১৪ জুন বেলা ৪টায় ট্রেনটি যাত্রা শুরু করতে চলায় এই সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গোটা বিষয়টি দ্রুত পরিষ্কার করা হবে বলে সাংসদ জানিয়েছেন। নতুন ট্রেনটি সেটির যাত্রাপথে এনজেপি, আলুয়াবাড়ি, কিশনগঞ্জ, বারসই, সামসী, মালদা টাউন, নিউ ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, আজিমগঞ্জ, বহরমপুর কোর্ট, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, নৈহাটির মতো স্টেশনগুলিতে স্টপ দেবে। মোট ২১টি কোচ থাকবে। বেশিরভাগই এসি কোচ। ট্রেনটিতে যাতে বেশ কয়েকটি নন–এসি স্লিপার কোচ দেওয়া হয় সেজন্য তাঁরা রেলকে দাবিপত্র দিয়েছেন বলে নর্থবেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক কিশোর মারোদিয়া জানিয়েছেন।