বেলাকোবা : জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর চা বাগানে ঐতিহ্যবাহী দেবী চৌধুরানী মন্দিরে এবার শততম বর্ষের পুজো। ২০১৮ সালে ভয়াভহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় মন্দিরটি। যদিও পরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একই আদলে মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ হয় এবং ২০২২ সালে পুনর্নিমিত মন্দির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মন্দিরের সিঁড়িতে থাকা বাঘের মূর্তি এখনও স্থাপণ করা হয়নি। দেবী চৌধুরানী এবং আনন্দ পাঠক সন্ন্যাসী মন্দির কমিটির সম্পাদক গোপাল রায় এই নিয়ে জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) জেলাশাসককে একটি চিঠির দিয়ে জানিয়েছেন ’অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া মন্দির ও বিগ্রহ সরকারের পক্ষ থেকে পুনরায় প্রতিষ্টিত হলেও সিড়িতে থাকা ছ’টি বাঘ এখনও স্থাপিত হয়নি যা আপনার হেপাজতে রয়েছে। ’ দ্রুত সেই বাঘের মূর্তি মন্দিরে স্থাপনের জন্য বিশেষ অনুরোধ করেছেন তিনি।
তবে পুজো এগিয়ে আসতেই প্রস্তুতিপর্ব যেমন তুঙ্গে তেমনি বাগানজুড়ে শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পুজোকে মাথায় রেখে ৩০ জনের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। বাগান সূত্রে জানা গেছে, বৈকুন্ঠপুরের রাজা প্রসন্নদেবের সময় প্রথম এখানে পুজো শুরু হয়। তারপর থেকেই বাগানের সন্নাসীহাট কমিটির উদ্যোগে দেবী চৌধুরানী মন্দিরের পাশেই দেবী দুর্গার পূজা হয়ে আসছে। বতর্মানে সেই সন্নাসী হাট এখন পরিচিত শিকারপুর হাট নামে। এবছর শতবর্ষ হওয়ায় তালমা কুমোরটুলি থেকে দুর্গা প্রতিমা আসবে, মণ্ডপসজ্জার দায়িত্বে ধোপের হাট। গোপাল রায় বলেন, ‘আমরা বাইরে থেকে কোন চাঁদা নিই না। বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক কর্মচারীদের ডোনেশনে প্রতিবছর পূজো হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দুর্গাপূজো উপলক্ষে অনুদান পাই।’ স্থানীয় চা শ্রমিকেরা জানান, ‘এই দিনটার জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি।’ অন্যদিকে বেলাকোবার বটতলার বাসিন্দা দীপঙ্কর দাস বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে বড়ো বাজেটের পুজো হয়, তা সত্ত্বেও আমি স্ত্রী’কে নিয়ে দেবী চৌধুরানীর মন্দিরে পুজো দিই, সেখানকার পরিবেশ এক অন্যরকম।’