Jalpaiguri | আর্যনাট্য সমাজে স্বদেশিয়ানা   

Jalpaiguri | আর্যনাট্য সমাজে স্বদেশিয়ানা   

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের যেসব জেলায় সংস্কৃতিচর্চা হয় তার মধ্যে অন্যতম জলপাইগুড়ি। এই  জেলার নাট্যচর্চার প্রসঙ্গ উঠলে যে সংস্থার নাম প্রথমে আসে সেটি শতবর্ষ পুরোনো আর্যনাট্য সমাজ। যার নাট্যমঞ্চ রবীন্দ্র ভবন নামে পরিচিত। এই আর্যনাট্য সমাজ তৈরির জন্য ১৯০২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শহরের তৎকালীন আইনজীবী শশীকুমার নিয়োগীর বাড়িতে আলোচনা সভা হয়। এরপর ১৯০৪ সালে আর্যনাট্য সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়। সেসময় এটি তৈরির জন্য সীতারাম বাবাজি নামে এক ব্যক্তি তিনবিঘা জমি দিয়েছিলেন। আর্যনাট্য সমাজের ঘর তৈরির জন্য মুন্সি মহম্মদ সোনাউল্লা টিন, কাঠ এবং বেড়া দেন। সহযোগী হিসাবে সারদাচরণ দত্ত, মাখনলাল   ভৌমিক, জগদীন্দ্র দেব রায়কত ও ত্রৈলোক্যনাথ মৌলিক ছিলেন। আর্যনাট্য সমাজের জন্য জগদীন্দ্র দেব রায়কত তাঁর গ্রন্থাগারের সমস্ত বই দান করেছিলেন। এটি  তৈরির উদ্দেশ্য ছিল বিপথগামী বাবুসমাজকে নাট্যচর্চার মাধ্যমে স্বদেশি চেতনায় জাগ্রত করা। আর্যনাট্য সমাজের যাঁরা সদস্য হতেন প্রত্যেকে মদ্যপান করবেন না বলে শপথ নিতেন। সদস্যরা সত্য শিব ও সুন্দরের উপাসনা  করতেন। তবে কেবল নাটক চর্চা নয়, সেখানে তৎকালীন সময় স্বদেশি বিদ্যালয় এবং বয়ন বিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। ‘জনমত’ পত্রিকার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী (শারদীয়া সংখ্যা ১৩৭২ পৃষ্ঠা ৪) সেই সময় ছোট ছেলেরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা নিজে হাতে করতেন। বিলাতি কাপড় পোড়ানো এবং কাপড় বর্জন করা আর্যনাট্য সংস্থার সদস্যদের উদ্দেশ্য ছিল। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবর্ষে রবীন্দ্র ভবনটি নির্মিত হয়। এখন আর্যনাট্য সমাজের সদস্য সংখ্যা ৪২।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *