Jalpaiguri | আজও শেডের লাইসেন্স অমিল, কাপড়হাটির পাইকারি মাছ বাজারে বাড়ছে ক্ষোভ

Jalpaiguri | আজও শেডের লাইসেন্স অমিল, কাপড়হাটির পাইকারি মাছ বাজারে বাড়ছে ক্ষোভ

শিক্ষা
Spread the love


বাণীব্রত চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: সালটা ২০১২।  মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ হবে বলে কাপড়হাটির পুরোনো মাছ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের স্থানান্তরিত করা  হয়। কাপড়হাটি থেকে স্থানান্তরিত করা হয় সবজি বাজারের ভেতরে একটি শেডে। ওই সময় জলপাইগুড়ি জেলা (Jalpaiguri) পরিষদ কর্তৃপক্ষের তরফে সেখানে মাপজোখ করা হয়। তাঁদের লাইসেন্স দেওয়া হবে বলা হয়। কিন্তু এক দশক পেরিয়ে গেলেও  আজও  ব্যবসায়ীরা শেডের লাইসেন্স পাননি।

পরবর্তী সময়ে সবজি বাজারের ভেতরের শেড থেকে সেই এগারোজন ব্যবসায়ীকে কোভিড পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালে ফের সেখান থেকে অস্থায়ীভাবে নতুন বাজার কিষান মান্ডিতে স্থানান্তরিত করা হয়। বংশানুক্রমিক ব্যবসার শেড হারিয়ে পরিযায়ী হয়ে এক বাজার থেকে আরেক বাজারে ঘুরতে হচ্ছে ওই ব্যবসায়ীদের।    কাপড়হাটি পুরানো বাজারের যে সবজি বাজারে পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা বসতেন সেই শেডগুলো এখন ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে। আবর্জনার স্তূপ জমিয়ে রাখা হয়েছে। দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে গোটা এলাকা। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়ছে।

পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী সুনীল শা’র  অভিযোগ, ‘পাইকারি মাছ ব্যবসা আমার ঠাকুরদা করতেন।  তারপর বাবা। এখন আমি করছি। ২০১২ সালে শেডের মাপজোখ হলেও আজও লাইসেন্স পাইনি আমরা।’

এবিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন  বলেন, ‘ওই এগারোজন পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীকে শীঘ্রই লাইসেন্স দেওয়া হবে। জেলা পরিষদে আলোচনাসাপেক্ষে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।’

এবিষয়ে ময়নাগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

আরেক পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিৎ শর্মা জানালেন, কাপড়হাটিতে এখন যেখানে জেলা পরিষদের মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে তাঁরা স্থায়ীভাবে বসতেন। প্রশাসনের কথায়  তাঁরা সবজি বাজারের ভেতরে শেডে আসেন। এখানে  তাঁদের  এগারোজনকে জেলা পরিষদ নিজস্ব লাইসেন্স দেবে বলে কথা দিয়েছিল। কিন্তু দেখতে দেখতে বারো বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আজও তাঁরা লাইসেন্স পাননি।  একই  বক্তব্য, পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী রতন দে-রও। তাঁর কথায়, ‘জেলা পরিষদের তরফে যে মাপজোখ করা হয়েছিল। তার ফোটোকপিও রয়েছে আমাদের কাছে।’

ময়নাগুড়ি পুরোনো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুমিত সাহা জানান, পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীদের বিষয়ে  জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। এটা বহুদিন আগেই দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।

এবিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য গোবিন্দ রায় বলেন, ‘ওই এগারোজন  ব্যবসায়ীর সমস্ত নথিপত্র জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে জমা দেওয়া রয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *