Jalpaiguri | আকাশের নীচেই রান্না-পড়াশোনা, ভাড়াবাড়িতে চলা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন

Jalpaiguri | আকাশের নীচেই রান্না-পড়াশোনা, ভাড়াবাড়িতে চলা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন

ব্লগ/BLOG
Spread the love


অনসূয়া চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: একেই ভাড়াবাড়ি, তার ওপর বাচ্চাদের পড়াশোনা থেকে রান্নাবান্না সবই চলছে খোলা আকাশের নীচে। এমনই অবস্থা জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি আগে মৃদুলেন্দু রায়কত স্মরণে কমিউনিটি হলে চলত। এই কমিউনিটি হলটির বয়স প্রায় ২৫ বছর হতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে এখানেই চলছিল পঠনপাঠন। আর পাশের ভাড়া করা বাড়িতে রান্নার পাশাপাশি জিনিসপত্র রাখা হত। কিন্তু ২০২৪ সালের ১৫ অগাস্ট হঠাৎই ওই কমিউনিটি হলের চাঙড় ভেঙে পড়ে। ছুটি থাকায় বড়সড়ো দুর্ঘটনা থেকে সকলে রক্ষা পেলেও আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি। তাই পাশে থাকা ওই ভাড়াবাড়িতেই এখন চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। ভাড়াবাড়ির একটি ঘরে রয়েছে বাচ্চাদের খাদ্যসামগ্রী, খোলা আকাশের নীচে হয় রান্নাবান্না। বাচ্চাদেরও খোলা আকাশের নীচে শতরঞ্চি পেতে পড়াশোনা করানো হয়।

ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী দীপা দাস বললেন, ‘চাঙড় ভেঙে পড়ার পর থেকে কোনোভাবেই সেখানে বাচ্চাদের পড়ানো সম্ভব নয়। বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের নিয়ে ভাড়াবাড়ির উঠোনে বসেই শুরু হয় অঙ্গনওয়াড়ি চালানোর কাজ। বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ভাড়াবাড়িকে বেছে নিয়েও লাভের লাভ কিছু হল না। কমিউনিটি হলটি সংস্কার করে কিংবা সকলের যাতায়াতের সুবিধা হয় এমন ঘরের ব্যবস্থা করা হলে সুস্থ পরিবেশে বসে সুন্দরভাবে কেন্দ্রটি চালানো সম্ভব হত।’

এই সেন্টারে প্রতিদিন প্রায় ৮০ জনের কাছাকাছি বাচ্চা, প্রসূতি, গর্ভবতীর জন্য খাবার বানানো হয়। এখানে প্রসূতি মা আছেন ৩ জন, গর্ভবতী ৩ জন, ৬ মাস থেকে ৩ বছর এবং ৩-৬ বছর পর্যন্ত বেশ কয়েকজন বাচ্চা রয়েছে। এতজনের খাবার তৈরির সময় যদি কিছু পড়ে এবং সেই খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে তার দায়ভার কে নেবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। শুধু তাই নয়, এত অল্প পরিসরে বাচ্চারা খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একটা ভাড়াবাড়ি, যেখানে আরও মানুষজন রয়েছেন, সেখানে কি আদৌ শিশুদের সঠিকভাবে পড়ানো সম্ভব?

অভিভাবক সান্ত্বনা সরকারের কথায়, ‘কমিউনিটি হলে ছিল এক সমস্যা, এখন আরেক সমস্যা। ওখানে পড়াশোনাটা হত। এখানে একদিকে রান্না হচ্ছে, আরেকদিকে মাটিতে বসে বাচ্চারা পড়ছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বলে কি সবসময় বঞ্চিত হয়েই থাকবে? এর আগে আশ্বাস মিলেছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। রান্নার সময় ওপর থেকে যদি কিছু পড়ে তাহলেই তো হাসপাতালে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি।’  এর আগে বহুবার পুরসভা, সিডিপিও-র তরফে আশ্বাস মিললেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি বলেও জানিয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ।

এ ব্যাপারে জলপাইগুড়ি সদর সিডিপিও সুদীপ তামাং বলেন, ‘কমিউনিটি হলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ভাড়াবাড়িতে সেন্টার চলছে জানি। কিন্তু এমন অবস্থা জানা ছিল না। নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখব।’ এখন দেখার, আদতে সমস্যার সমাধান হয় কি না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *