Jaldapara | শুয়োরের তাড়ায় লেজ গুটিয়ে পালাল চিতাবাঘ

Jaldapara | শুয়োরের তাড়ায় লেজ গুটিয়ে পালাল চিতাবাঘ

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


নীহাররঞ্জন ঘোষ, মাদারিহাট: ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। কিন্তু তাই বলে শুয়োরের তাড়া খেয়ে রীতিমতো লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাবে চিতাবাঘ! শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে (Jaldapara)। একটি ভিডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ) ক্যামেরাবন্দি করেছেন উদ্যানে টহলরত এক বনকর্মী।

অবশ্য বন্য শুয়োরকে দেখে শুধুমাত্র যে ওই চিতাবাঘটি ত্রস্ত ছিল, এমন নয়। মাদারিহাটের অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দারাও অতিষ্ঠ তাদের অত্যাচারে। অভিযোগ, দলে দলে বুনোরা ঢুকছে গ্রামে। তারপর হাঁস, মুরগি থেকে ছাগল সাবাড় করে ফিরছে জঙ্গলে। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে মাথায় হাত পড়ছে গৃহস্থের। এই অভিযোগ শুনে অবাক বনে গিয়েছেন খোদ বনকর্তা। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণ সংরক্ষক ডঃ নবিকান্ত ঝা বললেন, ‘আমি আগে তো শুনিনি শুয়োর মুরগি, ছাগলও খায়।’ নবিকান্ত এর আগে কখনও এমনটা না শুনলেও গ্রামবাসী নিজেদের দাবিতে অটল।

ঠিক কী ঘটেছে শুক্রবার?

বনকর্মীরা রোজদিনের মতোই টহল দিচ্ছিলেন। আচমকা জঙ্গলের ভেতর থেকে অদ্ভুত শব্দ কানে আসে তাঁদের। মনে হচ্ছিল, কেউ বা কারা যেন ভেতরে ছোটাছুটি করছে। সেদিকেই চোখ আটকে যায় সকলের। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। যা দেখে প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না কারও। তাঁদের দাবি, প্রথমে জোর গতিতে ছুটে গেল একটি বিশালাকার চিতাবাঘ। তার ঠিক পেছনে দৌড়াচ্ছে একটি বুনো শুয়োর। জঙ্গলের ভেতর বনকর্মীদের মোবাইল ফোনের ক্যামেরা অন থাকে। সেই মুহূর্তের ভিডিও শুট করেন একজন।

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনাধিকারিক পারভিন কাশোয়ানের কথায়, ‘আমাদের কর্মী টহলদারির সময় ওই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। মনে হচ্ছে, শুয়োরের দল ছিল আশপাশে। কিংবা কোনও মাদি শুয়োর ছিল, যে শাবকদের সুরক্ষার স্বার্থে চিতাবাঘটিকে তাড়া করছে। সাধারণত উলটোটা হয়। চিতাবাঘ শুয়োরকে তাড়া করে, মেরে খায়।’ পারভিনের মতে, ‘এমনও হতে পারে, বড় দাঁতওয়ালা শুয়োর দেখে চিতাবাঘটি ভয় পেয়েছে। আরও অনেক কিছুই হতে পারে। আমরা ধারণার ওপর বলছি।’

এদিকে, ঘটনাটি শুনে ভয় আরও বেড়েছে মাদারিহাটের মানুষের মনে। তাচ্ছিল্যের সুরে অনেকে বলছেন, ‘চিতাবাঘ অবধি ভয়ে কাঁপছে। আমরা তো কোন ছার।’ মেঘনাদ সাহা নগরের বাসিন্দা তপন দাসের দাবি, তাঁর বাড়িতে ঢুকে একটি মুরগি আর তার পাঁচটি ছানাকে খেয়ে ফেলেছে বন্য শুয়োর। তপনের বিবরণে, ‘প্রথমে ছানাগুলোকে কটমট করে খেয়ে ফেলল। এরপর মুরগিটাকে ধরে খাওয়া শুরু করে। তখন আমার স্ত্রী শুয়োরটিকে তাড়াতে গেলে সেটা উলটো ধেয়ে এসেছিল। শুয়োরগুলোকে দেখলেই ভয় লাগে।’

একই গ্রামের প্রদীপ দাস, রমণী দাস, সুজিত দাসরা ক্ষতিগ্রস্ত। কারও বাড়ি থেকে ছাগল মেরে অর্ধেক খেয়ে বাকিটা ফেলে চলে গিয়েছে, কারও গৃহপালিত আস্ত খাসি হজম করেছে শুয়োর। এমনকি বুনোরা গ্রামে এসে প্রসব করছে। শাবকগুলো এখানেই কিছুটা বড় হওয়ার পর মায়েরা তাদের নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গলে। কবে এদের দাপট থেকে সুরাহা মিলবে, জানেন না কেউ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *