সৌরভ দেব, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোর কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। আদালতের বাইরে রংয়ের কাজ সামান্য বাকি। সার্কিট বেঞ্চের সামনের অংশের রাস্তায় পিচের প্রলেপ পড়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের মধ্যেই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের (Jalapaiguri Circuit Bench) স্থায়ী পরিকাঠামোতে আদালতের কাজ শুরু হতে পারে। শনিবার জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর এলাকায় সার্কিট বেঞ্চের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি শম্পা সরকার এবং বিশ্বজিৎ বসু। এদিন তাঁদের উপস্থিতিতে আদালতের তথ্যপ্রযুক্তির ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়।
বিচারপতি শম্পা সরকার বলেন, ‘আদালত ভবনের নির্মাণকাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এর আগে এসে যেসব কাজ করতে বলে গিয়েছিলাম, তার সমস্তটাই সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, চলতি বছরেই স্থায়ী জায়গায় আদালতের কাজ শুরু করা যাবে। তবে কবে থেকে কাজ হবে তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।’
উদ্বোধনের আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি একবার আদালত পরিদর্শনে আসতে পারেন।
দুই বিচারপতি পরিদর্শনে আসবেন বলে আগে থেকেই পাহাড়পুরে হাজির হয়েছিলেন পূর্ত দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তর, বন দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। বেলা বারোটা নাগাদ দুই বিচারপতি সেখানে পৌঁছে নির্মিয়মাণ আদালত ভবনের কাজ পরিদর্শন করেন। এদিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জোরকদমে চলছে সার্ভিস রোড নির্মাণের কাজ। বড় বড় গাড়ি থেকে নামানো হচ্ছে আদালতের আসবাবপত্র।
বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার জন্য তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝিতেই সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামোতে আদালতের কাজ শুরু হয়ে যাবে। এদিন কাজের অগ্রগতি দেখে খুশি দুই বিচারপতি।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলছেন, ‘নির্মাণকাজ দ্রুততার সঙ্গে চলেছে। খুবই ভালো কাজ হচ্ছে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি একবার পরিদর্শনে আসবেন। তবে কবে থেকে কাজ শুরু হবে তার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’