মালদা: শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গোলমালের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অধ্যাপিকা। অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা তাঁকে অশ্লীল গালাগালি করার পাশাপাশি মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে। পরনের শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হননি, সংগঠনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন।
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক অধিবেশন গত বছর হয়েছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবছর হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মালদা থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক-অধ্যাপক যোগদান করেছিলেন। শনিবারের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নিগৃহীতা অধ্যাপিকা বলছেন, ‘অধিবেশন মঞ্চে আমার বিশেষ কিছু দায়িত্ব ছিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তখন বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময় আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা মূল গেটে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেন। আমরা কয়েকজন তাদের বোঝাতে যাই। কিন্তু তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।’ তিনি জানান, শিক্ষামন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রছাত্রীদের দাবি মেনে নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েকজনকে দেখা করতে বলেছিলেন। ওই সময় প্রচণ্ড ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। অন্যান্যদের সঙ্গে তাঁকেও প্রবল হেনস্তার মুখে পড়তে হয়। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। কিল-ঘুসি চলতে থাকে। বিক্ষোরত পড়ুয়ারা যাদবপুরের এক অধ্যাপিকা এবং তাঁর শাড়ি ছিঁড়ে দেয়। রবিবার ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েও তিনি আঁতকে উঠছেন। বলছেন, ‘একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাম অতিবাম ছাত্রছাত্রীরা দাবিদাওয়ার নামে এইভাবে আমাদের নিগ্রহ করবে ভাবতে পারিনি। ঘটনাটা আমাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।’
ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে ওয়েবকুপার মালদা জেলা শাখার সভাপতি অচিন্ত্য ব্যানার্জি বলেন, ‘আমিও ঘটনাস্থলে ছিলাম। বাম অতিবাম ছাত্র সংগঠন যা ঘটাল, তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। আমাদের অনেকেই হেনস্তার শিকার হয়েছেন। কিল-ঘুসি, চড় খেয়েছেন। আমাদের এক অধ্যাপিকার শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব সমস্ত বিষয়টা দেখছেন।’