উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইজরায়েল ও হামাস (Israel-Hamas)। এমনকি চুক্তি অনুযায়ী ইতিমধ্যেই তিন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এবার দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পেলেন আরও চার পণবন্দি। শনিবারই ইজরায়েলের চার পণবন্দি মহিলা সৈন্যকে রেড ক্রস সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। ইতিমধ্যে গাড়িতে করে তাঁরা গাজা ছেড়ে ইজরায়েলের পথে রওনা দিয়েছে। শুক্রবারই ইজরায়েলের চার পণবন্দি মহিলা সৈন্যকে মুক্তির কথা হামাসের তরফে জানানো হয়েছিল।
সূত্রের খবর, ওই চার পণবন্দিরা হলেন লিরি আলবাগ, করিনা আরিয়েভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া ও নামা লেভি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। বহু ইজরায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় গাজা সীমান্তেই এক সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েন ছিলেন ইজরায়েলের ওই চার মহিলা সৈন্য। তাঁদেরকে একসঙ্গেই অপহরণ করে নিয়ে যায় হামাস। সেই সময়ের ভিডিও করেছিল অপহরণকারীরা। এদিন মুক্তি পাওয়ার সময় তাঁরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরেছিলেন। তাঁদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাত নাড়তেও দেখা গিয়েছে। ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী এই চার পণবন্দির মুক্তির পরিবর্তে ইজরায়েলেরও প্যালেস্তিনীয় বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। যদিও উভয় পক্ষের তরফেই সেই সংখ্যা এখনও স্পষ্ট জানানো হয়নি।
তবে এই চারজনের সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে আগাম বার্গার, নোয়া মার্সিয়ানো, ওরি মেগিডিশ নামে আরও তিন মহিলা সৈন্যকে পণবন্দি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে আগাম বার্গার এখনও জীবিত এবং গাজায় বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তবে নোয়া মার্সিয়ানোর দেহ ইতিমধ্যেই ইজরায়েলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এবং ওরি মেগিডিশকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষের দিকেই জীবিত অবস্থায় হামাসের হাত থেকে মুক্ত করেছিল ইজরায়েলি সেনা।