উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গাজার উপর এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে সোমবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে একটি বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বৈঠকে ২০ দফা প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে ইজরায়েল। তবে এখনও পর্যন্ত প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। হামাস জানিয়েছে, ‘ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে’ তারা এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে।
এদিনের বৈঠকে ট্রাম্প প্রস্তাব দেন, আপাতত গাজায় একটি অস্থায়ী অরাজনৈতিক সরকার তৈরি হবে। এই সরকারে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন প্যালেস্টাইনিরা। গাজার প্রশাসনিক ব্যবস্থায় হামাসের কোনও ভূমিকা থাকবে না। সেই সঙ্গে প্যালেস্টাইনিদের গাজা ছেড়ে যেতে হবে না। হামাস যদি এই প্রস্তাবে রাজি থাকে, তা হলে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের সমস্ত ইজরায়েলি পণবন্দিকে ছেড়ে দিতে হবে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে হামাসের হেপাজতে রয়েছেন ৪৮ জন পণবন্দি, যাঁদের মধ্যে বেঁচে রয়েছেন ২০ জন। বাকি ২৮ জন আর জীবিত নেই বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রস্তাবে হামাস রাজি হলে ধাপে ধাপে ইজরায়েল গাজা থেকে সরিয়ে নেবে সেনা। এছাড়াও ইজরায়েলে জেলে বন্দি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২৫০ জন প্যালেস্টাইনিকে ছেড়ে দেবেন নেতানিয়াহুরা। দু’পক্ষ প্রস্তাবে রাজি হলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে।
এদিনের বৈঠকে ‘বোর্ড অফ পিস’ একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দেখবে প্রস্তাবের শর্তগুলি মানা হচ্ছে কি না। এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন ট্রাম্প স্বয়ং। সদস্য হিসাবে খাকছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। বাকি সদস্যদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নেতানিয়াহু। বলেন, “গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে আমি আপনার (ট্রাম্প) পরিকল্পনাকে সমর্থন করছি। এটা আমাদের সব বন্দিকে ইজরায়েলে ফিরিয়ে আনতে এবং হামাসের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করতে সহায়ক হবে।” তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে কিংবা প্রথমে গ্রহণ করে, পরে তার বিরোধিতা করলে ইজরায়েল নিজেই তার জবাব দেবে।” এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “যদি হামাস প্রস্তাব খারিজ করে, তা হলে তাদের হারাতে ইজরায়েলের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে।”