উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইরান আত্মসমর্পণ করবে না। কারণ ইরানি জাতি কখনও হুমকির কাছে মাথানত করে না। বললেন ইরাণের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই। বুধবার জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণ দেন ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা। ভাষণে ইজরায়েলকে ভুলের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে বলেও হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেনেইকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করতে বলেন। এমনকি ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে বলেও মন্তব্য করেন। যদিও ইরান যে ট্রাম্পের কথার তোয়াক্কা করে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খামেনেই। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের মতো পরিণতি হবে খামেনেইয়ের। সাদ্দামের প্রসঙ্গ তুলে সংবাদমাধ্যমকে কাটজ বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের স্বৈরাচারী শাসকের কী চরম পরিণতি হয়েছিল, ইরান যেন তা মনে রাখে।’ ট্রাম্প ও ইজরায়েলের হুমকিকে তোয়াক্কা করছে না খামেনি। আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ‘‘এই জাতি কারও চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করবে না।’’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই বলেছেন, ‘‘যেভাবে ইরান চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেছে, ঠিক তেমনি চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিপক্ষেও দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে। ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকানদের জানা উচিত, যেকোনও মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে। যার পরিণতি তারা সহজে সামাল দিতে পারবে না।”
এদিকে, বুধবার আল জাজিরাকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাঈ বলেন, কোনও তৃতীয় পক্ষ ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যকার যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়লে, সেটি পূর্ণমাত্রার এক সংঘাতের দিকেই যাবে। আর সেটি কেবল এই অঞ্চল নয়, বরং এর বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে। ইসমাইল বাঘাই বলেন, ইরান আপাতত কেবল ইজরায়েলের ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর ওপর মনোযোগ দিচ্ছে এবং তারা বিশ্বাস করে, প্রতিবেশী দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইরানের ওপর হামলা চালাতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘‘কূটনীতি কখনই শেষ হয় না। তেহরান এখন আর ওয়াশিংটনের ওপর ভরসা করে না। যেহেতু তাঁরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য, তাই রাশিয়া সহ সব দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ করছি। আমরা প্রত্যাশা করি, যারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা যেন এই হামলার নিন্দা ও সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে।’’