জয়পুর: টানা ব্যর্থতার জেরে জেরবার রাজস্থান রয়্যালস শিবির। সাজঘরের পরিবেশেও টানাপোড়েন। দলের মধ্যেই মতানৈক্য মাথাচাড়া দিচ্ছে। রিয়ান পরাগকে প্রথম তিন ম্যাচে অধিনায়ক করা বিতর্ক উসকে দিয়েছিল। খবর, হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় ও অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের মধ্যে নাকি সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।
দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে সুপার ওভারে হারা ম্যাচে যা সামনেও চলে এসেছে! দলের হাডল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় খোদ অধিনায়ককে। কোচ দ্রাবিড় পুরো দলকে একত্রিত করে কিছু বলছিলেন। যদিও সঞ্জু তখন ‘দলছুট’, হাডলের বাইরে! অনেকে দুয়ে দুয়ে চার করছেন। এমনই গুরুগম্ভীর পরিবেশের মধ্যে ঘরের মাঠে সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে শনিবার নামছে রাজস্থান।
প্রতিপক্ষ লখনউ সুপার জায়েন্টস। ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ঋষভ পন্থের দল লিগ টেবিলের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে। সেখানে রাজস্থান সমসংখ্যক ম্যাচে চার পয়েন্টে আটকে। আর নড়বড়ে রয়্যালস ব্রিগেডকে হারিয়ে নিজেদের পায়ের নীচের জমিটা আরও শক্ত করে নিতে বদ্ধপরিকর সঞ্জীব গোয়েঙ্কার লখনউ।
দিল্লি ম্যাচে সুপার ওভারে রাহুল দ্রাবিড়ের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে সমালোচনা হয়। ব্যাটিং কম্বিনেশন এবং ছন্দে থাকা জোফ্রা আর্চারের বদলে সুপার ওভারে সন্দীপ শর্মাকে দিয়ে বল করানোর যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকে। সবমিলিয়ে ঘরে-বাইরে পাহাড় প্রমাণ চাপ। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে জিততে হবে পরিস্থিতি। লক্ষ্যপূরণে হাজারো ফাঁকফোকর পূরণের চ্যালেঞ্জ।
ব্যাটিং এবং বোলিং, দুই বিভাগেই ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছে গোলাপি ব্রিগেড। জোফ্রা আর্চার গত কয়েকটি ম্যাচে ছন্দে থাকলেও বাকিরা ‘আজ ভালো তো কাল খারাপের’ অলিন্দে ঘুরপাক খাচ্ছে। তুষার দেশপান্ডে, ফজলহক ফারুকি, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা ভরসার মর্যাদা রাখতে ব্যর্থ। ব্যাটিংয়ে ভারতীয় ব্রিগেডের (সঞ্জু স্যামসন, যশস্বী জয়সওয়াল, নীতীশ রানা, রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল) হালও তথৈবচ। চাপ সামলাতে হিমসিম শিমরন হেটমেয়ারও।
আগামীকাল অ্যাওয়ে ম্যাচে এহেন নড়বড়ে প্রতিপক্ষের ফায়দা নেওয়ার বাড়তি তাগিদ লখনউ শিবিরের। মিচেল মার্শ, নিকোলাস পুরান, আইডেন মার্করাম ব্যাটিংকে টানছেন। গত ম্যাচে রানে ফিরেছেন ঋষভ পন্থ। আছেন ডেভিড মিলারও। আর্চারকে ভোঁতা করে দিতে পারলে মার্শদের আটকানো সহজ হবে না। ঠিকঠাক মঞ্চ পেয়ে গেলে পুরান-তাণ্ডবের আশঙ্কা তো রয়েইছে।
বোলিং তুলনায় কিছুটা এলোমেলো লখনউর। শুরুটা ভালো করেও গত কয়েক ম্যাচে শার্দূল ঠাকুরের পারফরমেন্স গ্রাফ নিম্নগামী। আবেশ খান, আকাশ দীপরা থাকলেও বোলিংয়ে ‘নেতা’র অভাব। তুলনায় নবাগত স্পিনার দিগবেশ রাঠি ছাপ রাখছেন। হাল ফেরাতে মায়াঙ্ক যাদব অস্ত্র হতে পারেন। ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ছাড়পত্র পেয়ে ইতিমধ্যে দলে যোগ দিয়েছেন।
আগামীকাল কি মাঠে নামবেন দেড়শো কিলোমিটার গতির মায়াঙ্ক ? রাজস্থান-লখনউ কালকের দ্বৈরথে যেদিকেও চোখ থাকবে অনেকের।