নয়াদিল্লি: ম্যাচ গড়াপেটা হতে পারে। কিছুদিন আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে লিখিতভাবে সাবধান করে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ী নাকি আইপিএলে গড়ােপটা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এবার হতে পারে নয়, সরাসরি ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ!
দাবি, লখনউ সুপার জায়েন্টস-রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে লখনউয়ের কাছে হেরেছে রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশিক্ষণাধীন রাজস্থান। উত্তেজক দ্বৈরথে জেতা ম্যাচ ২ রানে হারে রাজস্থান। যশস্বী জয়সওয়াল দুরন্ত শুরুর পরও জয় হাতছাড়া।
রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার অ্যাড হক কমিটির এক সদস্যের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই ম্যাচ ছেড়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের দল। ম্যাচে গড়াপেটা হয়েছে। তদন্ত হওয়া উচিত। অতীতেও রাজস্থান রয়্যালস দলকে ঘিরে গড়াপেটার শিকড় ছড়িয়েছিল আইপিএলে। দলের একাধিক প্লেয়ার নির্বাসিত হয়।
অতীত আশঙ্কা উসকে দিয়ে অ্যাড হক কমিটির আহ্বায়ক জয়দীপ বিহানি এই মারাত্মক অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, ‘৬ বলে ৯ রান করতে পারেনি রাজস্থান। এমন নয়, হাতে উইকেট ছিল না। দলের সেরা ব্যাটাররা তখন ক্রিজে ছিল। ওখান থেকে কোনও দল হারতে পারে! একটা বাচ্চাও বুঝতে পারবে ওই ম্যাচে গড়াপেটা হয়েছে।’
শেষ ওভারে ক্রিজে ছিলেন সিমরন হেটমেয়ার ও ধ্রুব জুরেল। দুজনেই স্পেশালিস্ট ব্যাটার। যদিও আবেশ খানের ওভারে একটা চারও মারতে পারেনি ব্যাটাররা। হেটমেয়ার আউট হয়ে যান। শেষপর্যন্ত ২ রানে হারে রাজস্থান। অভিযোগ, জেতার তাগিদই ছিল না গোলাপি ব্রিগেডের।
জয়দীপের মতে, এভাবে হারটা যন্ত্রণাদায়ক। সমর্থকরা হতাশ। দল সমর্থকদের কথা ভাবছে না। ইচ্ছে করেই ম্যাচ হারছে। দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচেও প্রায় একইভাবে জেতা ম্যাচ হেরেছিল রাজস্থান রয়্যালস। শেষ ওভারে ৯ রান দরকার পরিস্থিতিতে মিচেল স্টার্ক ৮ রান দেন। সুপার ওভারে ম্যাচ গড়ালে ভুল স্ট্র্যাটেজিতে ডুবেছিল রাজস্থান।
লখনউ ম্যাচেও যার পুনরাবৃত্তিতে প্রশ্নটা বড় আকার নিয়েছে। গড়াপেটা গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ। রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক জয়দীপের প্রশ্ন, পরপর দুই ম্যাচে একই পরিণতি কীভাবে হয়? আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের উচিত, বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা।
চলতি মেগা লিগে এখনও পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলে মাত্র ২টিতে জিতেছে রাজস্থান। চার পয়েন্ট নিয়ে দশ দলের লিগ তালিকায় আট নম্বরে। এখান থেকে সঞ্জু স্যামসনদের পক্ষে প্লে-অফের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।