উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ১২ রানে হেরে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে এদিন লখনউ তুলেছিল ২০৩/৮। জবাবে মুম্বই থেমে গেল ১৯১/৫ রানে। ঘরের মাঠে এদিনও রান পেলেন না ২৭ কোটির ঋষভ পন্থ। মাত্র ২ রান এল পন্থের ব্যাট থেকে।
এদিন টসে জিতে লখনউয়ের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বই। ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই হাত খুলে ব্যাট করতে শুরু করেন মিচেল মার্শ। এ দিন ফের ২৭ বলে অর্ধশতরান করেন মার্শ।
শুরু থেকেই মার্শের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে মুম্বইয়ের বোলিং। উল্টো দিকে থাকা এডেন মার্করামের ভূমিকা ছিল দর্শকের মতোই। তিনি একটা দিক ধরে রাখেন। ২৭ বলে অর্ধশতরান করেন মার্শ। ৯টি চার এবং ২টি ছয় মেরে ৩১ বলে ৬০ রান করে আউট হন মার্শ। একটি চার এবং একটি ছয় মেরে শুরুটা ভাল করেন নিকোলাস পুরান (১২)। তবে বড় রান করতে ব্যর্থ ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। পন্থ মাত্র ৬ বল খেলে করেন ২ রান। অর্ধশতরান করে ফেরেন মার্করামও (৫৩)। ওপেনারদের মতো আরও আগ্রাসী হওয়া উচিত ছিল লখনউয়ের বাকি ব্যাটারদের। কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন আয়ুষ বাদোনি (৩০)। বড় রান পাননি ডেভিড মিলারও (২৭)। শেষ ওভারে দু’টি উইকেট নিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূরণ করেন হার্দিক। চার ওভারে মাত্র ৩৬ রান দেন তিনি। শেষে লখনউ ৮ উইকেটের বিনিময়ে করে ২০৩ রান।
এদিন শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। চোটের কারণে এদিন মাঠে নামেননি মুম্বইয়ের রোহিত শর্মা। এদিন হিটম্যানের বদলে রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল উইল জ্যাকসকে। আইপিএলে প্রথম বার বল করতে নেমে প্রথম ওভারেই তাঁকে তুলে নেন আকাশ দীপ। পরের ওভারে শার্দূল ঠাকুর ফেরান রিকেলটনকে। মুম্বইয়ের উইকেটের পতন রুখতে জুটি গড়েন নমন ধীর এবং সূর্যকুমার যাদব। আগ্রাসী ব্যাটিং করে লখনউ বোলারদের ছত্রভঙ্গ করে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন নমন ও যাদব। নমনকে (৪৬) তুলে নেন দিগ্বেশ রাঠি। এদিন সূর্যকুমার যাদব যেভাবে জ্বলে উঠেছিলেন, তাতে একটা সময় জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন মুম্বই ভক্তরা। কিন্তু শেষমেশ তেমনটা আর হল না। হাতে ৫টি উইকেট থাকা সত্ত্বেও মুম্বইয়ের ইনিংস থেমে যায় ১৯১ রানে। ১২ রানে ম্যাচ জিতে যায় লখনউ। চার ম্যাচের দু’টিতে জিতে আপাতত ৬ নম্বরে উঠে এল লখনউ।