উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ (Casteism) তুললেন ইন্ডিগোর এক ট্রেনি পাইলট (IndiGo)। ওই পাইলটের অভিযোগ, ককপিটে বসার বা বিমান চালানোর যোগ্য নন বলে অপমান করা হয়েছে তাঁকে। এমনকি ফিরে গিয়ে তাঁকে ‘জুতো সেলাই’ করার কথাও বলেছেন অভিযুক্ত তিন আধিকারিক (Senior officers)। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ট্রেনি পাইলট (Trainee pilot)। এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ওই ট্রেনি পাইলটের অভিযোগ, গত ২৮ এপ্রিল ইন্ডিগোর গুরুগ্রাম অফিসে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ৩০ মিনিট ধরে চলা ওই বৈঠকেই তাঁকে বলা হয়েছিল, ‘আপনি বিমান চালানোর যোগ্য নন, ফিরে গিয়ে জুতো সেলাই করুন। আপনি এই অফিসের নিরাপত্তারক্ষী হওয়ারও যোগ্য নন।’ পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্যই এভাবে হেনস্তা করা হয়েছে বলে দাবি ওই ট্রেনি পাইলটের। এমনকি তপশিলি জাতিভুক্ত হওয়ার কারণেই তাঁকে চরম অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া, বারবার ওয়ার্নিং লেটার পাঠিয়েও চাপ দেওয়া হচ্ছিল ওই ট্রেনি পাইলটকে। গোটা বিষয়টি ইন্ডিগোকে জানানো হলেও সংস্থাটির তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই অবশেষে পুলিশের দারস্থ হয়েছেন ওই ট্রেনি পাইলট।
সূত্রের খবর, প্রথমে বেঙ্গালুরুর এক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৩৫ বছর বয়সি ওই ট্রেনি পাইলট। এরপর ‘জিরো এফআইআর’ হিসেবে ওই মামলা রুজু করে পুলিশ। পরবর্তীতে গুরুগ্রামের থানায় ওই অভিযোগ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানেই রয়েছে বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর সদর দপ্তর। অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযুক্ত তিন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-এর প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, ওই ট্রেনি পাইলটের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছে ইন্ডিগো। সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকের সম্মান এবং সকলকে নিয়ে কাজ করার প্রতি সংস্থা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই ভিত্তিহীন দাবিগুলিকে দৃঢ়ভাবে খণ্ডন করে ইন্ডিগো।’ প্রয়োজনে সংস্থাটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে সমর্থনের বার্তাও দিয়েছে।