উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আবেদন-নিবেদনে সাড়া। অবশেষে কোমায় চলে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রী নীলম শিন্ডের (Indian Scholar Neelam Shinde Case) পরিবারের জরুরিকালীন ভিসা মঞ্জুর করল মার্কিন দূতাবাস (US Embassy)।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাতারার বাসিন্দা নীলম শিন্ডে (৩৫)। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। আমেরিকায় (US) পড়তে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন নীলম। কোমায় চলে যান তিনি। তাঁর কাছে পৌঁছোতে ভিসার আবেদন করেও অনুমোদন পাচ্ছিল না নীলমের পরিবার। অবশেষে এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের বিষয়টি তুলে ধরার পর বিদেশমন্ত্রক হস্তক্ষেপ করে। পাশাপাশি মহারাষ্ট্র সরকারও সহায়তা করে। এরপর কাটে প্রাথমিক জট। শুক্রবার সকালেই ভিসা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পান নীলমের বাবা ও ভাই। জানা গিয়েছে, সেখানেই তাঁদের ভিসার অনুমোদন দেয় মার্কিন দূতাবাস।
নীলমের বাবা তানাজি শিন্ডে ভিসা পাওয়ার পর কেন্দ্রের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র সরকার, সুপ্রিয়া সুলে ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে ধন্যবাদ জানান। পরবর্তী ফ্লাইটেই আমেরিকায় যাচ্ছেন নীলমের বাবা, কাকা ও দাদা। একইসঙ্গে তাঁর বাবা জানিয়েছেন, আমেরিকা যেতে ও মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছেন তিনি। এখন মেয়েকে সুস্থ করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে আচমকা একটি গাড়ি ধাক্কা মারে নীলমকে। তীব্র গতিতে থাকা সেই গাড়ির ধাক্কায় প্রায় ৪০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। মাথায়, বুকে গভীর চোটের সঙ্গে ভেঙে যায় হাত ও পায়ের হাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দুর্ঘটনার খবর যায় পরিবারের কাছে। নীলমের সার্জারির পর থেকেই কোমায় রয়েছেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নীলমের কাছে পৌঁছোনোর জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্টের চেষ্টা শুরু করে নীলমের পরিবার। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট। বিষয়টি জানতে পেরে এক্স হ্যান্ডলে লেখেন এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে। এরপরই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে হস্তক্ষেপ করা হয়। যোগাযোগ করা হয় বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গেও। সেখান থেকেই আমেরিকার প্রশাসনের কাছে আর্জি যায়।