উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের ধর্না (Tmc Dharna) মঞ্চ খুলে দেয় সেনাবাহিনী (Indian Military)। আর এই নিয়ে সোমবার দুপুরে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। সেনা মঞ্চ খুলে দিচ্ছে এমন খবর পেতেই সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ খুলে ফেলা নিয়ে সেনাবাহিনীকে সামনে রেখে কার্যত বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা অভিযোগ করেছেন, সেনাকে দিয়ে মঞ্চ ভাঙিয়েছে বিজেপি (BJP)।
মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ‘প্রায় ২০০ সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। আমি বললাম, পালাচ্ছেন কেন? আমি আপনাদের বিরুদ্ধে নই, আপনাদের জন্য গর্বিত। এটা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আর বিজেপির কাজ।’ যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে সেনা। ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে বলা হয়, সেনার অধীনে থাকা এলাকায় অনুষ্ঠান করার অনুমতি সর্বোচ্চ ২ দিনের জন্য দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট তেমনই নির্দেশ দিয়েছে, এর বেশি সময়ের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে আবেদন করে অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে দু’দিনের অনুমতি নিয়ে প্রায় ১ মাস ধরে অস্থায়ী প্যান্ডেল দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও আয়োজকরা সেটি সরাননি। শেষপর্যন্ত কলকাতা পুলিশকে জানিয়ে সেনাবাহিনীর তরফে মঞ্চ খোলার ব্যবস্থা করা হয়।’
উল্লেখ্য, প্রতি শনি ও রবিবার ধর্না কর্মসূচি থাকলেও তৃণমূলের মঞ্চ সবসময়ই বাঁধা অবস্থায় থাকছিল। সেনার দাবি, অনুমতি ছাড়াই অস্থায়ী মঞ্চকে স্থায়ী ধর্নাস্থল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু যদিও সেনার অবস্থান স্বাভাবিকভাবেই মানতে চাননি মমতা। তিনি বরং বলেন, ‘কলকাতা পুলিশকে বলতে পারত, অরূপ বিশ্বাসকে জানাতে পারত। আমরা নিজেরাই খুলে দিতাম। তা না করে হঠাৎ মঞ্চ ভাঙা হল—এটা অনৈতিক।’