উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সীমান্তে সামরিক কার্যকলাপের ওপর বিরতির সময়সীমা বাড়াল ভারত-পাকিস্তান। দু’দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনের(DGMO) বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জনৈক আধিকারিক বলেন, ‘২০২৫ সালের ১০ মে দুই ডিজিএমও-র মধ্যে সমঝোতার পর, পারস্পারিক আস্থা বাড়ানোর দরুন সতর্কতা ব্যবস্থা (অ্যালার্ট লেভেল) কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পরবর্তীতে কেমন থাকে তাও যথাসময়ে আপনাদের জানানো হবে।’
গত ১০ মে, পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতের ডিজিএমওকে ফোন করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানান। যদিও সেই রাতেই পাকিস্তানের তরফে জম্মু কাশ্মীরের সীমান্তে গোলাবর্ষণ হয়। মৃত্যু হয় এক বিএসএফ জওয়ানের। যার কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। তবে তারপর থেকে আর সীমান্তে কোনও গোলাগুলি চলেনি বলেই জানা গেছে। ১২ মে ফের হটলাইনে আলোচনা হয় ভারত পাকিস্তানের ডিজিএমওদের। সেখানেও সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রেখে গোলাগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সেই আবহেই এবার সীমান্তে এই ‘হাই আলার্ট’ তথা অতি সতর্কতামূলক পরিস্থিতেতে লাগাম টেনে যুদ্ধবিরতির সময়কাল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল দুই দেশ।
উল্লেখ্য গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় পর্যটকদের উপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। এই হামলার পেছনে সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ি করে ভারত। শুরু হয় পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি। এরপরই ৬ মে গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ টি জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। এরপর পালটা হামলা পথে যায় পাকিস্তান। ভারত সফলতার সঙ্গে পাক হামলা ঠেকিয়ে প্রত্যাঘাত করে ভারত। যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। একরকম দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ভারতকে ফোন করে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয়।