উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী। তারপর থেকে প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তবে এক বছর আগের কূটনৈতিক ঝড়ের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ভারত-মালদ্বীপের সম্পর্ক (India-Maldives)। আগামী শুক্রবারই দু’দিনের (২৫ও ২৬ জুলাই) সফরে মালদ্বীপে যাচ্ছেন মোদি। আর ঠিক এই সফরেই আগেই ভারত এবং ভারতীয়দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মালদ্বীপের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আব্দুল্লা শাহিদ (Maldives’ ex-Overseas Minister Abdulla Shahid)।
নির্ভরযোগ্য দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে অতীতের সম্পর্কের বর্ণনা দিতে গিয়ে মালদ্বীপের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘মালদ্বীপ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক সর্বদাই প্রমাণ করেছে যে ভারতই সবসময় প্রথমে সাড়া দিয়েছে। আমরা যখনই আন্তর্জাতিক লাইনে ফোন করি, ভারত সাড়া দেবেই।’ আর এর কারণ হিসেবে ভারতীয়দের প্রশংসা করেও তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ভারতীয়দের হৃদয় বড়। তাঁরা সবচেয়ে উদার। দ্বিতীয়ত, ভারত ভৌগোলিকভাবে মালদ্বীপের খুব কাছাকাছি। তাই মালদ্বীপে জরুরি কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে ভারত কখনও আমাদের হতাশ করেনি।’
এমনকি একই রকম মন্তব্য করেছেন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদও। তিনি মালদ্বীপের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উদ্বেগের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যদি ভারত না থাকত, তাহলে আমরা ঋণ শোধ করতে পারতাম না। আমরা সর্বদাই ভারতের সঙ্গে বিদেশনীতি বজায় রাখতে চেয়েছি। কিন্তু অতীতে নির্বাচনি চক্র কখনও কখনও আমাদের চীনপন্থী অবস্থানে বাধ্য করেছে।’ নাশিদ এই ‘চীনপন্থী অবস্থান’ মন্তব্যের মাধ্যমে মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকেই নিশানা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, মুইজ্জু বরাবরই চিন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এমনকি বিদেশনীতির ক্ষেত্রেও দিল্লির চেয়ে বেজিংকেই বেশি সমর্থন করেন বলে দেখা গিয়েছে।
তবে এবারে মোদির সফরের পর ভারতের আর্থিক অনুদানে একাধিক প্রকল্পের কাজ শুরু হবে মালদ্বীপে। সেগুলির উদ্বোধন করবেন তিনি। এছাড়াও মালদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার পাশাপাশি মুইজ্জুর সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে মোদির। এই বৈঠকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়টিও তুলে ধরা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।