উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর মাঝখানে দীর্ঘ বিরতি। তারপর থেকে একটু একটু করে উষ্ণ হচ্ছে ভারত চিন সম্পর্ক। এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই সোমবার নয়াদিল্লি সফরে এসে পৌঁছলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (India-China Meet)। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ওয়াং। জয়শংকর নিজের বক্তব্যে জানিয়েছেন, ‘কঠিন সময়’ পার করে দুই দেশ এখন এগিয়ে চলার চেষ্টা করছে।
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় মারাত্মক সংঘর্ষের পর ভারত চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। এই ঘটনার প্রায় ৪ বছর পর, গত বছরের অক্টোবরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার কাজান শহরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বৈঠক করেন। যার জেরেই দুই দেশের মধ্যে বরফ গলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। জয়শংকর এদিন বলেন, ‘উভয় পক্ষের একটি স্পষ্ট এবং গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।’ একই সঙ্গে তাঁর জোরাল বক্তব্য ছিল, ‘দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্যগুলি বিরোধে পরিণত হওয়া উচিত নয়।’ বর্তমান পরিবেশে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং তা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জয়শংকর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনও রূপে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ভারতের আরেকটি প্রধান অগ্রাধিকার।’
জয়শংকর এদিন স্পষ্ট করেন, ‘যখন বিশ্বের দুটি বৃহত্তম দেশ মিলিত হয়, তখন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়া স্বাভাবিক। আমরা একটি সুষ্ঠু, ভারসাম্যপূর্ণ এবং বহু-মেরু বিশ্ব ব্যবস্থা চাই, যার মধ্যে একটি বহু-মেরু এশিয়াও রয়েছে। সংস্কারকৃত বহুপাক্ষিকতাও আজকের দিনের আহ্বান।’ চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘উভয় দেশ সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে। আমরা জিজাং (তিব্বত সীমান্ত এলাকাকে জিজাং প্রদেশ বলে চিন) স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে মাউন্ট গ্যাং রেনপোচে এবং লেক মাপাম ইউন তসোতে ভারতীয় তীর্থযাত্রা পুনরায় শুরু করেছি। হস্তক্ষেপ দূর করতে, সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে এবং চীন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি ও উন্নয়নের গতি আরও সুসংহত করার জন্য আমরা আত্মবিশ্বাসী। আগামীকাল ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের। পাশাপাশি ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রীও।