উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের শেষে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক (India -America Relation) আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি দিনের শেষে, আমরা একসাথে আসব।’ তাঁর দাবি, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই, সবকিছু হারিয়ে যাবে না।’
বুধবার থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ হারে শুল্ক কার্যকর করেছে আমেরিকা। ২৭ অগাস্ট ৯ টা ৩১ মিনিট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হয়। এই মুহূর্তে ভারত ছাড়া একমাত্র ব্রাজিলের উপরই এই হারে শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। এই বিপুল শুল্ক চাপায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ব্যবসা তলানিতে গিয়ে ঠেকবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ‘আতঙ্কের কোনও কারণ নেই, ভারতীয় রপ্তানির বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির কারণে এই শুল্কের প্রভাব যতটা আশঙ্কা করা হচ্ছে ততটা হওয়ার সম্ভাবনা কম।’ দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি অস্থায়ী পর্যায় বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি পদে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প (Donald Trump) মিত্র এবং প্রতিযোগীদের উপর নতুন শুল্ক আরোপ করলেও, ভারতের উপর এই ৫০ শতাংশ শুল্ক মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য সর্বোচ্চ। ট্রাম্পের দাবি ছিল ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনায় শাস্তি স্বরূপ ভারতের উপর এই শুল্ক চাপানো হয়েছে। কারণ ভারত-চিনের মতো দেশকে তেল বিক্রি করেই রাশিয়া ইউক্রেনের মতো দেশের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার রসদ পাচ্ছে। যদিও ভারত সরাসরি আমেরিকার এই অবস্থানকে খারিজ করে জানায়, এই শুল্ক আরোপ ‘অন্যায্য এবং অযৌক্তিক’ দেশের স্বার্থের জন্য যা কাঙ্খিত ও সঠিক সেটাই তারা করবে।
২০২৪ সালে ভারতের শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে ৮৭.৩ বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় পণ্য রপ্তানি করা হয়েছিল। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে ৫০ শতাংশ শুল্ক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ছোট সংস্থাগুলিকে ক্ষতি করতে পারে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক অজয় সহায়, এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছ থেকে সহায়তা দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলেও আমরা কর্মীদের বেতন নিশ্চিত করতে চাইছি।’ তিনি এএফপিকে জানান, তারা বাণিজ্য আলোচনার জন্য এখনও আশাবাদী।