Ind-Pak match | ‘ভারত ম্যাচ নয়, আসল লক্ষ্য ট্রফি’, প্রধানমন্ত্রীর আবদারে সায় নেই সহ অধিনায়কের

Ind-Pak match | ‘ভারত ম্যাচ নয়, আসল লক্ষ্য ট্রফি’, প্রধানমন্ত্রীর আবদারে সায় নেই সহ অধিনায়কের

শিক্ষা
Spread the love


লাহোর: টুর্নামেন্টে ফলাফল যাইহোক, ভারতের কাছে হারা চলবে না। ২৩ ফেব্রুয়ারির মহারণে জিততেই হবে। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কাছে এমনই আবদার কয়েকদিন আগে করেছিলেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। যদিও পাক দলের সহ অধিনায়কের গলায় ভিন্ন সুর। সলমন আলি আঘা সাফ জানালেন, তাঁদের আসল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা, কোনও একটা ম্যাচ নয়।

সলমন মানছেন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সঙ্গে দুই দেশের সম্মান, মর্যাদা জড়িয়ে। আবেগের বিস্ফোরণ ঘটে। যে ম্যাচে হারতে নারাজ কেউ। সম্মানের যে দ্বৈরথে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়তে চান। তবে দলগতভাবে ভারত-বধ নয়, ট্রফিতেই চোখ।

শেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে (২০১৯) ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। এবার আয়োজক খোদ পাকিস্তানই। সলমন বলেছেন, ‘পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হচ্ছে। খুশিটা তাই একটু বেশিই। আমি লাহোরের ছেলে। লাহোরে ফাইনাল দ্বৈরথে ট্রফি জিততে পারলে, স্বপ্নপূরণ হবে। আমাদের এই পাকিস্তান দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রসদ, ক্ষমতা রয়েছে।’

১৯ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন মেগা আসরের। কয়েকদিন আগে কিউয়িদের হাতেই ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। তবে সলমন সামনের দিকে তাকানোয় বিশ্বাসী। ভারত-বধের ক্ষেত্রেও সেই আত্মবিশ্বাসের ঝলক। তবে ঘুরেফিরে একটা ম্যাচে লক্ষ্যটাকে আটকে রাখতে রাজি নন। চ্যাম্পিয়ন্সের আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে চান।

বাস্তববাদী পাক সহ অধিনায়কের যুক্তি, ভারতকে হারানোর পর যদি ট্রফি না আসে, তাহলে লাভের লাভ কিছু নেই। কিন্তু ভারতের কাছে হেরেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে দল, ক্রিকেটারদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি হবে। নিঃসন্দেহে যা অনেক বড় সাফল্য।

তবে সমর্থকদের ভারত-ম্যাচ নিয়ে আশ্বাস দিচ্ছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভারতকে হারানোর মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব সবাই। সেরাটা তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর প্রত্যেকে। তবে দিনের শেষে পাখির চোখ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই।’

এদিকে, লক্ষ্যপূরণে বাবর আজমকে তিন নম্বরে খেলানোর পরামর্শ দিচ্ছেন মহম্মদ আমির। প্রাক্তন পাক পেসারের যুক্তি, তিনে নেমে কীভাবে ইনিংস তৈরি করতে হয় জানে বাবর। পাকিস্তান দলের উচিত, সেই দক্ষতাকে কাজে লাগানো।

আমিরের দাবি, ‘তিন নম্বরই বাবরের আসল জায়গা। ওই পজিশনেই অভ্যস্ত। টি২০ ফর্ম্যাটে এহেন পরীক্ষানিরীক্ষা ঠিক আছে। কিন্তু ওডিআই, টেস্টে ওপেনিং আলাদা চ্যালেঞ্জ। বাবর বড় প্লেয়ার। হয়তো সামলে নেবে। কিন্তু ওকে তিনে খেলালে দল লাভবান হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *