নয়াদিল্লি: প্রথমবার ভারতীয় টেস্ট টিমে ডাক। শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডগামী দলের সঙ্গে বিমানে উঠবেন নবাগত বি সাই সুদর্শনও। টপঅর্ডারে তামিলনাডু ও গুজরাট টাইটান্সের প্রতিভাবান ব্যাটারকে নিয়ে আশায় ভারতীয় ক্রিকেটমহল। যদিও তামিলনাডুর প্রাক্তন কোচের বক্তব্য ঠিক উলটো। দাবি করলেন, পেস সহায়ক পরিস্থিতিতে সুদর্শনের ব্যাট মোটেই সফল নয়। ইংলিশ কন্ডিশনে ডিউক বলে আদৌ চলবে কি না, বলা মুশকিল।
আইপিএলের টি২০ ফর্ম্যাটে সুদর্শনের ক্রিকেটীয় শট চোখ টানছে। প্রশংসা কুড়োচ্ছে ব্যাটিং টেকনিক। যদিও সেই টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন উসকে দিচ্ছেন ২০২৩-’২৪ মরশুমে সুদর্শনের সঙ্গে কাজ করা সুলক্ষণ কুলকার্নি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের মনে ভয় ধরিয়ে সুলক্ষণ বলেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ওর রেকর্ড কিন্তু আহামরি নয়। আমি যখন কোচ ছিলাম, পেস সহায়ক পিচে সুদর্শনকে একাধিক ম্যাচে দেখেছি। ও কিন্তু সফল হয়নি। বল যেখানে নড়াচড়া করে, সেখানে ওর টেকনিক যথাযথ নয়। আরও উন্নতির প্রয়োজন।’
সাদা বলে দুরন্ত। চলতি আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন সুদর্শন (১৪ ইনিংসে ৬৭৯ রান)। যদিও সাদা পোশাকে লাল বলের ক্রিকেটে ছবিটা কিছুটা অন্যরকম। ২০২২ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে সুদর্শনের। লাল বলের ফর্ম্যাটে ২৯টি ম্যাচে ৩৯.৯৩ গড়ে ১৯৫৭ রান করেছেন। মুম্বইয়ের প্রাক্তন রনজি ট্রফি অধিনায়ক সুলক্ষণ নিজে কাউন্টি ক্রিকেট (মাইনর লিগ) খেলেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে মনে করেন, ইংলিশ কন্ডিশনে সুদর্শন সমস্যায় পড়লে তিনি মোটেই অবাক হবেন না।
নিজের কথার পক্ষে সুলক্ষণের যুক্তি, বলকে দূর থেকে খেলার প্রবণতা রয়েছে। ইংল্যান্ডে সেখানে দেরিতে এবং যথাসম্ভব বলের কাছে গিয়ে খেলতে হয়। চোখের নীচে বলকে রেখে শট খেলা জরুরি। প্রাক্তন ছাত্রের প্রতি পরামর্শ, দূর থেকে শট খেলার মানসিকতায় কাটছাঁট করতে হবে। বেশ কিছু শট এড়িয়ে যেতে হবে। সর্বোপরি সফরের আগে দরকার সুইং বলের বিরুদ্ধে টেকনিকে উন্নতি।
শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে ঠিক একই কথার প্রতিধ্বনি মন্টি পানেসরের গলায়। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনারের মতে, শ্রেয়সের টেকনিকও ইংলিশ কন্ডিশনের জন্য উপযুক্ত নয়। অজিত আগরকাররা সফরে শ্রেয়সকে না রেখে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পানেসর বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, কোনও ভুল করেছে নির্বাচকরা। শ্রেয়স ভালো খেলোয়াড়। কিন্তু সুইং এবং সিম পরিস্থিতিতে নয়। নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সুপারস্টার। তবে পেস সহায়ক কন্ডিশনের মোকাবিলা করার মতো টেকনিক ওর নেই। ওর মূল অস্ত্র হ্যান্ড-আই কোঅর্ডিনেশন। কিন্তু সফট হ্যান্ড প্লেয়ার নয়। দ্রুত শট খেলে। ইংল্যান্ড সফরে যা চলে না। তবে পাটা, স্পিন পিচ হলে ছবিটা উলটো।’