উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আইআইএম জোকায় হস্টেলে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় (IIM-Joka Case) অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে জামিন দিল আলিপুর আদালত (Alipore Court docket)। পুলিশি হেপাজতের পর শনিবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়। এরপর সব দিক খতিয়ে দেখে এক সপ্তাহের মাথায় শর্তসাপেক্ষে অভিযুক্ত ছাত্রের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক (Bail)।
জানা গিয়েছে, শনিবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত এ রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। যদিও এদিন আদালতে অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন সরকারি আইনজীবী। কিন্তু শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, ঘটনার এক সপ্তাহ পেরোলেও এখনও নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। তিনবার গোপন জবানবন্দির জন্য ডাকার পরও নির্যাতিতা তা এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্তের আইনজীবী। পাশাপাশি নির্যাতিতার মেডিকো-লিগাল পরীক্ষাও এখনও হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এরপরই নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি এখনও কেন নেওয়া হয়নি তা সরকারি আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারক। উত্তরে তিনি জানান, নির্যাতিতা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আসতে পারছেন না। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী। তাই আদালতে অভিযুক্তের জেল হেপাজতের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সবটা খতিয়ে দেখে সরকারি আইনজীবীর আর্জি খারিজ করে অভিযুক্তের জামিনের নির্দেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই পেশায় মনোবিদ ওই নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আইআইএম জোকার দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রকে। নির্যাতিতা তরুণী অভিযোগ করেছিলেন, অভিযুক্ত ছাত্রের কাউন্সেলিংয়ের জন্য বয়েজ হস্টেলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে ঠান্ডা পানীয় ও কিছু খাবার দেন অভিযুক্ত ছাত্র। ওই পানীয়তে মাদক মেশানো ছিল বলেই দাবি। তা পান করার পরই অজ্ঞান হয়ে পড়েন নির্যাতিতা তরুণী। তারপর তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। জ্ঞান ফেরার পর তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে দাবি করেন নির্যাতিতা। ঘটনার তদন্তের জন্য সিটও গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ সহ ফরেন্সিক নমুনাও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা।