ICDS | রহস্যজনকভাবে খাদ্য বহন খরচ বেড়েছে তিনগুণ

ICDS | রহস্যজনকভাবে খাদ্য বহন খরচ বেড়েছে তিনগুণ

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: আইসিডিএস প্রকল্পে (ICDS) শুধু টেন্ডার দুর্নীতিই নয়, সামগ্রী বহনের খরচেও বিস্তর পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০২২ সালে কুইন্টাল প্রতি খাদ্যসামগ্রী বহনে যে খরচ ছিল, ২০২৫ সালে তা অন্তত তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে যে খরচ ছিল কুইন্টাল প্রতি ১৯০ টাকা, ২০২৫ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ৫৫০ টাকায়। অভিযোগ, এমন কিছু সংস্থা রয়েছে যারা গত বছর পর্যন্ত কাজ করে গিয়েছে তাদের এবার টেন্ডার বাতিল হয়ে গিয়েছে। বাতিল সংস্থা এবং টেন্ডার পাওয়া সংস্থাগুলির বিডে চার থেকে পাঁচ টাকার হেরফের। তাই পুরো বিষয়টিতে ষড়ষন্ত্রের তত্ত্ব উঠে এসেছে। অভিযোগ, কাউকে না জানিয়ে চুপিচুপি ফিন্যান্সিয়াল বিড খুলে কাছের লোকদের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই পুরোনো টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার করার দাবি উঠেছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তেরও দাবি উঠেছে।

২০২২ সালের টেন্ডার অনুযায়ী শিলিগুড়ির এফসিআই গুদাম থেকে দার্জিলিং পুলবাজারের জোনাল গুদামে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর জন্য কুইন্টাল প্রতি ১৯০ টাকা নেওয়া হত। কিন্তু ২০২৫ সালে সেই টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৫০ টাকা। একইরকমভাবে শিলিগুড়ি এফসিআই গুদাম থেকে রংলি রংলিয়ট যাওয়ার জন্যে কুইন্টাল প্রতি ২০০ টাকা খরচ হত। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকা। শিলিগুড়ি থেকে মাটিগাড়া আইসিডিএস জোন ১-এ যাওয়ার জন্যে ২০২২ সালে খরচ হত ৯৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল। বর্তমানে ৪৭৫ টাকা। নকশালবাড়ি আইসিডিএস পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে ২০২২ সালে কুইন্টাল প্রতি ১২০ টাকা খরচ হত। চলতি বছর সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৫ টাকা। ২০২২ সালে পেট্রোলের দাম ছিল ৯৬ টাকা। বর্তমানে পেট্রোল প্রতি লিটার ১০৫ টাকা। মাত্র ৯ টাকার হেরফেরে কী করে বহন খরচ এতটা বেড়ে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে শুধু এফসিআই গুদাম থেকে আইসিডিএস প্রোজেক্ট গুদামে পৌঁছানোর খরচই বাড়েনি। বেড়েছে আইসিডিএস প্রোজেক্ট থেকে আইসিডিএস সেন্টারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর খরচও। ২০২২ সালে দার্জিলিং পুলবাজার জোন ১-এর আইসিডিএস প্রোজেক্ট গুদাম থেকে আইসিডিএস সেন্টারগুলিতে পৌঁছানোর জন্যে খরচ হত ৯৭৫ টাকা। ২০২৫ সালের টেন্ডার অনুযায়ী খরচ বেড়ে হয়েছে ১৪৪৫ টাকা। নকশালবাড়ি জোন ১-এর খরচ ছিল ১৯১ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এরকমভাবেই মাটিগাড়া, কার্সিয়াং, ফাঁসিদেওয়া, খড়িবাড়ি সব জোনেই বহন খরচ অনেকটা করে বেড়ে গিয়েছে। এত টাকা কী করে বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? যারা কাজ পেয়েছে বেশির ভাগই পাহাড়ের সংস্থা। সমতলের অধিকাংশ সংস্থারই টেন্ডার বাতিল হয়েছে। কী করে দীর্ঘদিনের পুরোনো সংস্থার টেন্ডার বাতিল হল সেটাও প্রশ্নের মুখে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *