উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পৌঁছাল নিউজিল্যান্ড। লাহোরে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। এদিন প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করে ৩৬২ রান। জবাবে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ৯উইকেট হারিয়ে করে ৩১২ রান। ৫০ রানে ম্যাচ জিতে কিউইরা পৌঁছে যায় ফাইনালে। আগামী রবিবার অর্থাৎ ৯ মার্চ ফাইনালে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।
একপ্রকার নজির গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসন এবং রাচীন রবীন্দ্রর জোড়া সেঞ্চুরি নিউজিল্যান্ডকে পৌঁছে দেয় রানের পাহাড়ে। ডেভিড মিলার মরিয়া চেষ্টা করেও নিজের দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। এদিন ব্যর্থ হন দুরন্ত ফর্মে থাকা ওপেনার উইল ইয়ং। ইয়ং আউট হলেও কিউইদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। দলের ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন রাচীন এবং উইলিয়ামসন। ১৬৪ রানের জুটি গড়ে বড় রানের ভিত গড়েন। শেষ পর্যন্ত দুজনের ব্যাট থেকেই আসে সেঞ্চুরি। ওপেন করতে নেমে রাচীনের ১০১ বলে করেন ১০৮ রান। উইলিয়ামসন বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাত্র ৯১ বলে। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৩৬২ রানে থামল কিউয়ি ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এটাই এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর।
৭২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার লুঙ্গি এনগিডি। ৭০ রানে ২ উইকেট কাগিয়ো রাবাডার। ৪৮ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন উইয়ান মুলডার।
জয়ের জন্য ৩৬৩ রানের পাহাড়ে চড়তে গিয়ে হোঁচট খান দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা। ওপেনার রায়ান রিকলটন ১২ বলে ১৭ রান করে আউট হয়ে যান। ২০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বাভুমা এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। বাভুমা ৫৬ রান করেন ৭১ বলে। ডুসেন ৬৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমা-ডুসেন জুটি ভাঙার পর নিয়মিত হারে উইকেট পড়তে থাকে প্রোটিয়াদের। এডেন মার্করাম (২৯ বলে ৩১), হেনরিক ক্লাসেন (৭ বলে ৩), মুলডার (১৩ বলে ৮) পর পর আউট হওয়ায় লড়াই থেকে এক রকম ছিটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৬ ওভারের পর তাদের রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২০০।
দলকে জেতাতে ক্রিজের একপ্রান্তে থেকে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যান ডেভিড মিলার। তাকে সহায়তা করার মতো যোগ্য সঙ্গীর অভাব ছিল। শেষ পর্যন্ত মিলার ১০টি চার এবং চারটি ছক্কার সাহায্যে ৬৭ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন। রাবাডা ব্যাট হাতে খানিকটা চেষ্টা করলেন বটে। তাতে ম্যাচের ফল বদল সম্ভব ছিল না। তিনি করলেন ২২ বলে ১৬। শেষে ৫০ ওভার ব্যাট করেও জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারল না প্রোটিয়ারা।
নিউজিল্যান্ডের স্যান্টনার ৪৩ রানে নিলেন ৩ উইকেট। ২৭ রানে ২ উইকেট নিলেন ফিলিপস। ৪৩ রানে ২ উইকেট ম্যাট হেনরির। ২০ রানে ১ উইকেট রাচিনের। ৫৩ রানে ১ উইকেট মিচেল ব্রেসওয়েলের। খেতাবি লড়াইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে রবিবার দুবাই স্টেডিয়ামে নামবেন স্যান্টনাররা।