দুবাই: পারদ চড়ছিল সূচি ঘোষণার পর থেকে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট বিক্রিতে সেই উন্মাদনার আঁচ। অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে টিকিট শেষ! শুধু পাক ম্যাচ নয়, ভারতের সব ম্যাচের টিকিট নিয়েই হাহাকার, হাউসফুল বোর্ড।
সোমবার বিকাল চারটা নাগাদ অনলাইনে ভারতের গ্রুপ লিগের ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই টিকিট নেই ইন্দো-পাক মহারণে! ভারত-বাংলাদেশ (২০ ফেব্রুয়ারি), ভারত-নিউজিল্যান্ড (২ মার্চ) ম্যাচের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি এক। ঘণ্টা চারেকের মধ্যে বাকি দুই গ্রুপ লিগের ম্যাচেরও টিকিট শেষ।
৪ মার্চ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালের টিকিট কেনা নিয়েও উৎসাহ দেখার মতো। সেখানেও ভারত ফ্যাক্টর। প্রথম সেমিফাইনালের অন্যতম সম্ভাব্য দল ধরা হচ্ছে রোহিত শর্মা ব্রিগেডকে। টিকিট বিক্রিতে তারই প্রতিফলন। ভারতের বাকি ম্যাচগুলির মতো টিকিট বিক্রি শুরু হতে না হতেই নিমেষে তা শেষ।
উলটো ছবি পাকিস্তানের করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলিকে নিয়ে। অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারও খোলা হয়েছে। যেখানে সশরীরে হাজির হয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা টিকিট কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে তিন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত গ্রুপ লিগের ১০ ম্যাচের টিকিট বিক্রি গত সপ্তাহে শুরু হলেও টিকিট এখনও পাওয়া যাচ্ছে। অথচ ভারতের ম্যাচের তুলনায় পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ম্যাচের টিকিটের দাম অনেক কম।
টিকিট নিয়ে উৎসাহের পাশাপাশি চলছে ভারত-পাক বাইশ গজের মেঠো দ্বৈরথ ঘিরে ভবিষ্যদ্বাণীও। বাসিত আলি যেমন ফেভারিট হিসেবে ধরছেন ভারতকে। প্রাক্তন পাক ব্যাটার বলেছেন, ‘ভারতের জয়ের সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ। ৩০ শতাংশ সুযোগ পাকিস্তানের। ভারত অনেক অভিজ্ঞ দল। তবে বিরাট কোহলি, রোহিত ফর্মে না থাকলে অবশ্য তুল্যমূল্য লড়াই হবে।’
এদিকে, স্টেডিয়ামের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অচলাবস্থার মাঝে আয়োজক পাকিস্তানের জন্য নিয়ম বদলাচ্ছে আইসিসি। প্রাথমিকভাবে মেগা টুর্নামেন্টের সপ্তাহ তিনেক আগে স্টেডিয়াম চলে যায় আইসিসির হাতে। এই সময়ে স্পনসরশিপ সহ নিজেদের বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রে সপ্তাহ খানেকও পাচ্ছে না আইসিসি।
টুর্নামেন্টের আগে লাহোর, করাচিতে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের আসর বসছে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে যা চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। তারপরই এই দুই মাঠ হাতে পাবে আইসিসি। টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ, সপ্তাহ খানেকও সময় পাচ্ছে না আইসিসি। কিন্তু স্টেডিয়ামের কাজ নিয়ে চলতি ডামাডোলের কারণে নিয়ম বদলে বিশেষ ছাড় পাকিস্তানকে।