মুম্বই: আইসিসি-র লভ্যাংশের আরও বেশি প্রাপ্য ভারতের। এমনই দাবি রবি শাস্ত্রীর। প্রাক্তন হেডকোচের মতে, ভারতের কারণে আইসিসি-র ভাঁড়ার ভরছে। তাই বর্তমানের ৩৮.৫ শতাংশের বেশি প্রাপ্য বিসিসিআইয়ের। এই ব্যাপারে আইসিসি-র কাছে দরবার করা উচিত ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের।
বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সর্বোচ্চ পদে বর্তমানে আসীন জয় শা। দুয়ে দুয়ে চার করার পক্ষে শাস্ত্রী। নিজেদের দাবি সঠিকভাবে তুলে ধরলে বিসিসিআই লাভবান হবে বলে মনে করেন। লভ্যাংশের একটা বড় অংশ ভারতকে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। বিসিসিআইয়ের ৩৮.৫ শতাংশ পাওয়া নিয়ে পাকিস্তান বারবার প্রশ্ন তুলেছে।
যদিও শাস্ত্রীর যুক্তি, ভারতই আইসিসি-র আয়ের মূল উৎস। আয়ের বেশিটাই আসে ভারতীয় ক্রিকেটের সুবাদে। তাই লভ্যাংশের ভাগও বেশি হওয়া উচিত। প্রাক্তন হেডকোচ বলেন, ‘ভারত বর্তমানে আইসিসি-র যে লভ্যাংশ পায় (৩৮.৫ শতাংশ) তার সঙ্গে আমি একমত। বরং মনে করি, লভ্যাংশের আরও বেশি পাওয়া উচিত। ভারত থেকে আয় বেশি হয়। সেই অনুযায়ী ভাগও বেশি প্রাপ্য।’
শাস্ত্রীর যুক্তি, অতীতে ক্রিকেট-বাণিজ্যে অন্য দেশগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৯৭০, ১৯৮০-র দশকে অন্যরা রাজত্ব করেছে। তখন আইসিসি-র আয়ের উৎস ছিল সেই দেশগুলি। আগামীদিনে হয়তো নতুন কোনও শক্তিশালী ইকনমি আইসিসি-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এখন যেই ভূমিকায় ভারতীয় ক্রিকেট। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ধনী বোর্ড। প্রায় দেড়শো কোটির জনসংখ্যা, বিশাল ক্রিকেট দর্শক, যার প্রভাব লভ্যাংশ বণ্টনে পড়াটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন শাস্ত্রী।
তিরাশির বিশ্বজয়ী দলের সদস্য তথা প্রাক্তন হেডকোচ বলেছেন, ‘ভারতের বাড়তি লভ্যাংশ পাওয়া প্রত্যাশিত। আইসিসি-র রেভিনিউয়ের উৎসের দিকে নজর রাখলেই কারণটা পরিষ্কার। ভারতীয় দল যখন কোনও সফরে যায়, সেই সিরিজের টেলিভিশন স্বত্ব কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সেদিক থেকে এখন যা পাচ্ছে, তার থেকে বেশিই পাওয়া উচিত।’